খিদেও মিটবে, ফ্যাটও বাড়বে না; কোন কোন খাবারে?
কম খেয়ে পেট ভরান। শরীর রাখুন ঝরঝরে। চিকিত্সকদের দাবি, ভরা পেটে থাকলে হাজারো বিপদ। তৈরি হতে পারে ওবেসিটি। তাই এমন খাবার বাছতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত ক্যালোরি। শরীরের ভিটামিন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট মেটানোর ক্ষমতা। কী সেই খাবার? দেখে নেওয়া যাক-
আপেল
আপেল মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে। মূল খাবারের আধঘণ্টা আগে খেয়ে নিন একটা গোটা আপেল। সপ্তাহের কাজের দিনে নিজেকে ফিট রাখতে ভীষণ উপকারি।
ডাল
ডাল, মটরশুঁটি জাতীয় খাদ্যের কথা খুব বলেন গবেষকরা। মসুরের ডাল, সিম বিচি, মটরশুঁটি সবকটিই প্রোটিনসমৃদ্ধ সুপারফুড হিসাবে বিশেষ পরিচিত।
মরিচ
মরিচ খাবারে পরিতৃপ্তি আনতে সাহায্য করে। গবেষণায় জানা যাচ্ছে, খাবারে মরিচ থাকলে মোট ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা ২৫ ভাগ কমে যায়। খাই, খাই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা যায় সহজেই।
ডিম
ডিমে রয়েছে পর্যাপ্ত ক্যালরি। ব্রেকফাস্টে ডিম থাকলে সকালেই শরীরে ক্যালোরির ঘাটতি অনেকটাই কমে যায়। দুপুর পর্যন্ত ক্ষিদের অভাব দূর করে।
বাদাম/আমন্ড
বাদাম একটি দারুণ খাবার যা কম খেতে সাহায্য করে। এক গ্লাস অরেঞ্জ জুসে তিন চামচ বাদাম বাটার সরবত খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকবে। শরীরও থাকবে ঝরঝরে।
ডার্ক চকোলেট
ক্ষিদে পেলে ডার্ক চকোলেট খান। প্রচুর ক্যালোরি থাকে ক্যাডবেরিতে। একটি ক্যাডবেরি মূল খাবারে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা ১৭ ভাগ কমিয়ে দেবে।
স্যুপ
স্যুপ উপাদেয় খাদ্য। একবাটি মিক্সড স্যুপে থাকে পর্যাপ্ত ক্যালরি। ভারী খাবার না খেয়ে স্যুপ খেয়েও অনেকক্ষণ কাটিয়ে দেওয়া যায়।
ছাতু
যবের গুঁড়ো বা ছাতু খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা অনুভূতি থাকে। যবের গুঁড়ো বা ছাতুতে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার ও প্রোটিন থাকে বলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে।
খাদ্যতালিকায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই সব উপাদান রাখলেই তাড়াতাড়ি পেট ভরবে। পেট ভার হবে না। বার বার খিদে পাবে না। শরীর থাকবে ঝরঝরে ও নির্মেদ।