৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শনিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

পুরুষের গোপন একটি যৌন রোগ অনেকেই অবহেলা করেন!

যৌন রোগ আক্রন্ত পুরুষ  যৌন মিলনের সময় তার যৌন সঙ্গীর দেহে এসব রোগ সংক্রমিত করে। এ কারণে এগুলিকে যৌন সংক্রমিত রোগ বলা হয়। অনেক স্থানে বহু সংখ্যক যুবক এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে আমাদের দেশের মানুষ যৌন রোগে আক্রান্ত হলেও এ বিষয়টা সহজে কারো কাছে বলতে চান না এমনকি চিকিত্সকের কাছে পর্যন্ত অনেক বিষয় গোপন করেন। এটা করা আদৌ উচিত নয়।

যৌন রোগের লক্ষণ:-

পুরুয়ের লিঙ্গ থেকে এক প্রকার নিঃসরণ দেখা যায় যা সাদা বা হলুদ (হালকা হলুদ) জাতীয় পদার্থ এবং প্রসাবের সময় সাধারণত ব্যথা হয়। সাথে আরো মনে রাখুন-

  • যৌন রোগী যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে সঙ্গীর দেহে রোগ সংক্রমিত করে।
  • এই সব রোগ যাদের আছে অনেক সময় তারা তা জানে না অথবা এ রোগের প্রতি কোন নজর দেয়না।
  • একাধিক সঙ্গীর সাথে যৌন সঙ্গম করলে এ সব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • যৌনাঙ্গ যদি প্রতিদিন, বিশেষ করে প্রত্যেক সঙ্গমের পর পরিষ্কার করা না হয়, তাহলে যোন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • কনডমের সঠিক ব্যবহার অনেকক্ষেত্রে যৌনরোগ প্রতিরোধ করে।

>যৌন রোগ প্রতিরোধ:-

যৌন রোগ প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি দরকার সেটা হলো যৌবনের শুরুতেই তরুনদের এ বিষয়ে  জ্ঞান লাভে সহায়তা করা । তরুন যুবকদের থেকে শুরু করে বয়স্ক সবাইকে সচেতন করে তুলতে হবে নানা প্রকার যৌন রোগ হওয়ার কারণ এবং এ গুলির মারাত্মক পরিনতি সম্পর্কে। আরো যা যা করতে পারেন:-

  • যাদের অনেক যৌন সঙ্গী আছে তাদের সাথে সঙ্গম এড়িয়ে চলতে ।
  • সব সময় সাবান ও পানি, বিশেষ করে যৌন সঙ্গমের পর যৌনাঙ্গ ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে।
  • রোগীর যৌন সঙ্গীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে, যাতে এই রোগ অন্যদের মধ্যে না ছড়ায়।
  • কনডম ব্যবহার করতে বলুন।

কেউ যদি মনে করে তার যৌন রোগ আছে তাহলে যথা শিঘ্র সম্ভব পরীক্ষা এবং চিকিৎসা করানো উচিত। শুরুতে যৌন রোগের চিকিৎসা করা সহজ, পরে চিকিৎসা করা কঠিন। যথাযথ ও তাড়াতাড়ি চিকিৎসা না হলে কি ঘটতে পারে।

সংক্রমনের চিকিৎসা যদি তাড়াতাড়ি না হয়, তাহলে তা যৌনাঙ্গের বাহির থেকে যৌনাঙ্গের ভিতর প্রবেশ করবে। মহিলাদের বেলায় এটা জরায়ু টিউব ও ডিম্ব কোষ এবং পুরুষের বেলায় অন্ডকোষ আক্রমন করবে। এটা প্রথম দিকে সাংঘাতিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে এবং পরবর্তী সময়ে মহিলা বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে অথবা পুন: পুন: গর্ভ নষ্ট হতে পারে অথবা মৃত বাচ্চা প্রসব করতে পারে। পুরুষেরা সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। আক্রান্ত পুরুষ অথবা মহিরার অন্যান্য যৌন সঙ্গীর মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়বে। গর্ভবতী মহিলারযৌন রোগের চিকিৎসা না হলে, বাচ্চা যৌন রোগ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করতে পারে।

চিকিৎসা:-

পুরুষ বা নারী যেই হোক না কেন যৌন রোগের কোনো প্রকার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া মাত্রই হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা গ্রহণ করা উচিত। কারণ এ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে অনেক এলোপ্যাথই উচ্চ শক্তির এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন। তার চেয়ে হোমিও ঔষধই অনেক ভালো এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন যা অঙ্করেই রোগের বীজটাকে একেবারে মূল থেকে বিনষ্ট করে দেয়। যার কারণে রোগী খুব অল্প সময়েই চির আরোগ্য লাভ করেন। তবে যাতে কেউ কোনো প্রকার যৌন রোগে আক্রান্ত না হয় সে দিকে বিশেষ নজর উচিত। নিজেদের বন্ধু বান্ধব কেউ আক্রান্ত হলে তাত্ক্ষণিক ভাবেই কোনো প্রকার সংকোচ না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া উচিত।

Comments

comments