৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, রবিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

খাদ্যাভ্যাস বদলেই ওজন কমান

মেদবিহীন ছিপছিপে সর্বোপরি সুস্থ একটি শরীর কে না চায়? সকলেই কামনা করেন নিজের সুগঠিত,ও কার্যক্ষম শরীর। কম বয়সে ওজন কম ছিল বলে সাড়া জীবনই তেমনটা থাকবে এমন কোনও কথা নেই।

বয়স কিংবা সময়ের সাথে সাথে আমাদের জীবন যাত্রায় যেমন পরিবর্তন আসে, তেমনি আসে আমাদের ওজন আর বাহ্যিক চেহারাতেও। তবে সত্যি বলতে কি, আহামরি কিছু নয়। ছোট্ট কিছু অভ্যাস করে তুলেই আপনার বাহ্যিক চেহারাটাকে রাখা সম্ভব সর্বদা সুন্দর ও তারুণ্যের দীপ্তিতে ভরা। এবং অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব ওজন।

না,অহেতুক জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনকি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুব বেশি প্রচেষ্টা বা জোগাড় যন্ত্রের প্রয়োজন পড়ে না। কতিপয় বদঅভ্যাস ত্যাগ করতে হবে কেবল। আর তার ফলেই আপনার বাড়তি ওজন কেবল নিয়ন্ত্রণে থাকবে না, কমবেও।

প্রথমত- মিষ্টি ও ভাজাভূনা কম খাবেন। ভাত খাবেন হিশাব করে।

দ্বিতীয়ত- প্রতিদিন জীবনযাপনে যাই ঘটুক নিজে নিজে একটু ব্যায়াম করে নেবেন। সেটা হাঁটা, সাঁতার বা ফ্রি হ্যান্ড যাই আপনার পছন্দ। এ দু’টি হলো জিমে না গিয়ে ওজন কমানোর প্রাথমিক ও অন্যতম শর্ত।

হুট করে মুটিয়ে যাবার কারণ:

কম বয়সে দারুণ ছিপছিপে ছিলেন, কিন্তু এখন মোটা হয়ে গেছেন? এতে আপনার দোষ নেই, থাকতে পারে অনেক কারণই। বাচ্চা হওয়া, অপারেশন, ডেস্কে বসে কাজ করতে হয় এমন চাকরি, খাদ্যাভ্যাস এলোমেলো হয়ে যাওয়া। ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ উলটপালট খেয়ে ফেলা। শরীরে খাবারের প্রয়োজন নেই, অথচ ভালো খাবার দেখলে খেতে ইচ্ছে করলে অনেকেই খেয়ে ফেলেন। এতে শরীরে মেদ জমে সারাদিন শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে ওজন বাড়ে।

বংশগত কারণেও মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকে। খাবার যখন কম থাকে, জিন শরীরে ফ্যাটের স্টোরেজ বাড়িয়ে দেয়। এরপর খাবার বেশি খেলে এবং শক্তি ক্ষয় কম হলে ওজন বেড়ে যায়।

স্বাভাবিক উপায়ে ওজন কমানো:

ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক উপায় হলো-এমন ডায়েট মেন চলুন যাতে বেশি পরিমাণে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার আছে, মাঝারি পরিমাণে প্রোটিন আছে এবং কম পরিমাণে ফ্যাট আছে। যারা অফিসে যান তারা ব্রেকফাস্টটা খেয়ে দুপুরের খাবার অফিসে যাওয়ার সময় লাঞ্চ হিসেবে নিয়ে যান।

ডায়েট টিপস:

  • আলু, কুমড়ো, কাঁচা কলা খাবেন না।
  • ছাঁকা তেলে ভাজা কিছু খাবেন না, তা সে বেগুন হোক বা পটল ভাজা হোক।
  • অ্যালকোহল, এনার্জি ড্রিংকস, হেলথ ড্রিংকস, সফট ড্রিংকস খাবেন না।
  • চিনি একেবারেই খাবেন না, প্রয়োজনে সুইটনার চলতে পারে।
  • গরু, খাসির মাংস ও চিংড়ি মাছ মোটেই খাবেন না।
  • কোমল পানীয় একেবারেই খাবেন না। কোল্ড ড্রিংস মোটা হওয়ার আশঙ্কা ৬০ ভাগ বাড়িয়ে দেয়।
  • কখনো স্টার্ভেশন ডায়েট করবেন না। এই পদ্ধতিতে দ্রুত রোগা হওয়া গেলেও শরীর প্রয়োজনীয় খাবারের অভাবে নানা সমস্যা দেখা দেয়।
  • রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
  • বার বার অল্প করে খাবেন। লাঞ্চ বা ডিনারের সময় অবশ্যই কম খাবেন।
  • আপনার পছন্দ-অপছন্দের খাবার, বর্তমান খাদ্যাভ্যাস ও বাজেটের ওপর ভিত্তি করে ডায়েট চার্ট তৈরি করুন। কোন ধরনের কাজের সঙ্গে আপনি যুক্ত তার ওপর নির্ভর করবে আপনার পারফেক্ট ডায়েট। আপনার ডায়েটে যাতে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যথেষ্ট পরিমাণে থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
  • প্রতিদিনের ডায়েটে হোলমিল এবং বিভিন্ন ধরনের দানাশস্য রাখুন, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, যেমন-হোলহুইট ব্রেড, রাইস, ওটস মিল, হোল মিল পাস্তা, বার্লি, ব্রাউন রাইস খান প্রয়োজন মতো। ওবেসিটি কমিয়ে সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে ফল ও শাক সবজি খান।

অসময়ে খিদে পেলে করণীয়:

অসময়ে খিদে পেলে হেলদি স্ন্যাক্স খান। লাঞ্চ এবং ডিনারের মাঝে ৩/৪ ঘন্টা পর পর হেলদি স্ন্যাক্স খেতে পারেন। খুব খিদে পেলে শুকনো রুটি বা টোস্ট বিস্কুট খান। ফলও খেতে পারেন। লাউ বা অন্য সবজির রস বা সিদ্ধ শাক সবজি খেতে পারেন। বেশি রাতে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম খাবেন।

বিশেষ সতর্কতা:

এই ডায়েট পরামর্শ কেবলই শতভাগ সুস্থ, নীরোগ মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যাদের কোনও প্রকার অসুখ আছে, কিংবা শারীরিক অসুস্থতার জন্য ওজন বেড়ে গেছে… তারা অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তবেই ওজন কমাবার দিকে মনোযোগ দিবেন। অনেক অসুখের ক্ষেত্রেই ডায়েট টিপস আপনার জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে।

Comments

comments