মধু-দারুচিনি পানের আশ্চর্য উপকারিতা
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে মধু ও দারুচিনির মিশ্রণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। বিশেষ করে উচ্চমাত্রার কোলেস্টরেল ও রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে বেশ কাজ করে এটি। অনেক ধরনের ভাইরাসের বিরুদ্ধেও লড়াই করে মধু ও দারুচিনির মিশ্রণ।
হেলদি ফুড টিম অনলাইন থেকে জানা যায়, মধু-দারুচিনির দারুণ কিছু উপকারিতার কথা।
হৃদরোগ:
রোজ সকালে জ্যাম-জেলি বা মাখনের বদলে মধু আর দারুচিনি গুঁড়োর একটি মিশ্রণ পাউরুটিতে মাখিয়ে খেলে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাবে আর হৃদরোগের সম্ভাবনা কমিয়ে দেবে।
বাত/আর্থারাইটিস:
এক গ্লাস গরম পানিতে দুই টেবিল চামচ মধু আর এক টেবিল চামচ দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়েও খাওয়া যায়। প্রতিদিন নিয়ম করে সকালে ঘুম থেকে উঠে আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পানি পান করলে দীর্ঘমেয়াদি বাতের সমস্যাও দূর হয়ে যায়। সেই সাথে এটা ক্যান্সার প্রতিরোধেও বেশ সহায়ক।
পিত্ত থলিতে সংক্রমণ:
অনেক সময় পিত্ত থলিতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দেখা দেয়। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রতিদিন এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে দুই টেবিল চামচ দারুচিনির গুঁড়ো ও এক টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে পান করা যেতে পারে।
কোলেস্টরল:
বড় এক কাপ চায়ের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে তিন টেবিলচামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে পান করার দুই ঘণ্টার মধ্যেই আপনার রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা ১০ শতাংশ কমে যায়।
ঠাণ্ডা:
হঠাৎ ঠাণ্ডা বা সর্দিতে আক্রান্ত হলে এক টেবিল চামচ মধু আর ১/৪ টেবিল চামচ দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে পরপর তিন দিন খেলে ভালো করে দেবে। সাইনাসের সমস্যাও কমিয়ে দেবে।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা:
নিয়মিত মধু আর দারুচিনির গুঁড়ো খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শরীরের ভেতরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো বিভিন্ন রকমের ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
ফ্লু:
মধুতে থাকা প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা ফ্লুয়ের জন্য দায়ী ভাইরাসকে ধ্বংস করে এবং ফ্লু থেকে রক্ষা করে।
ওজন কমানো:
দারুচিনি গুঁড়ো দিয়ে ফোটানো এক গ্লাস পানিতে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে পান করলে দ্রুত ওজন কমে যবে।
নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ:
সারাদিন তাজা নিঃশ্বাস নিতে চাইলে এক গ্লাস গরম পানিতে এক টেবিল চামচ মধু ও দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে রোজ নিয়ম করে এই পানি দিয়ে কুলি করা যেতে পারে। সারাদিন নিঃশ্বাস থাকবে একদম তরতাজা।