৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শনিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

স্বামীর কাছে সফল স্ত্রী হতে মেনে চলুন ১০ টি টিপস

১. আল্লাহর কাছে বিবাহ এবং সফল সম্পর্কের জন্য দোয়া প্রার্থনা করা।
– জগতের সকল ভাল কিছুই আছে আল্লাহপাক/বিধাতার তরফ থেকে। সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদ ছাড়া ইহকাল কিংবা পরকালের শান্তি সম্ভব নয় – তাই তার দয়া প্রার্থনা করতে ভুলবেন না।

২. কথা শুনুন এবং সম্মান করুন।
– স্বামীকে সম্মান করা বাধ্যতামুলক। আপনার স্বামী সংসারের প্রধান ব্যক্তি। তাকে তার প্রাপ্প অধিকার এবং সম্মান দিন।

৩. সর্বদা স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখার উপায় অন্বেষণ করুন – যেহেতু তিনি আপনার বেহেস্তের চাবি।
– হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন যে, যদি কোন নারী এমন কোন ঘরে/রাজ্যে মৃত্যুবরণ করে যেখানে তার স্বামী husband তার সাথে অনেক সুখে ছিলেন, সেক্ষেত্রে উক্ত নারী বেহেস্তবাসী হবার সম্ভাবনা আছে।

৪. যেকোন প্রকার তর্ক-ই ঘরে আগুন দেয়ার সমতুল্য।
– “আমি অত্যন্ত দুঃখিত” এ কথা বলে যেকোন পরিস্থিতি দমন করা – এমনকি যদি আপনি জানেনও এটা আপনার ভুল নয়। আপনি যখন তর্ক করছেন – তার মানে আপনি জলন্ত আগুনে কেরসিন তেল ঢালছেন। যাচাই করে দেখুন কোন একটি তর্কের ক্ষেত্রে আপনি যখন বলবেন “দ্যাখ, আমি এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করছি”।

৫. ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পুনরাবৃত্তি করুন।
– যখন আপনার স্বামী আপনার কিংবা সংসারের জন্য ভাল কোন কাজ করে। তখন তাকে ধন্যবাদ জানান। এটি একটি খুবই গুরুত্বপুর্ন কৌশল, স্বভাবতই মানুষ কোন একটি কাজের বিনিময়ে সুবিদাভোগীদের কাছে নুন্যতম ধন্যবাদ টুকু আশা করে। অপরদিকে স্বার্থপরতা যেকোন মানুষের মনে আগুন জ্বালাতে পারে।

৬. আপনার স্বামীর সাথে কৌতুক করুন।
– পুরুষের একটি গোপন কথা: তারা এমন নারী খোজে যে হালকা মনের এবং কৌতুকরসবোধ এর অধিকারী। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) সাহাবা জাবির কে বলেছেন এমন নারীকে বিয়ে করার জন্য যে তাকে হাসিখুশি রাখতে পারবে এবং যাকে সে হাসিখুশি রাখতে পারবে।

৭. ঘরে যথাসম্ভব সেজেগুজে থাকুন এবং নিজের সাজগোজ shajgoj স্বামীকে উৎসর্গ করুন।
– ছোট বয়সে মেয়েদের যেমন কানফুল এবং সুন্দর জামাকাপড় পরাতে পিতা-মাতা পছন্দ করেন – বিয়ের পরও স্বামীর উদ্দেশ্যে একই রকম ভাবে সুন্দরীর অবয়বে উপস্থিতি স্বামীকে ভালবাসায় আগ্রহী করবে। এবং এর মাধ্যমে পরনারীর প্রতি আসক্তি নিয়ন্ত্রন সম্ভব হবে।

৮. বেহেশত্ এর হুর দের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষন করুন এবং তাদের অনুকরনের চেষ্টা করুন।
– আল কোরআন এবং বিভিন্ন হাদিসে বেহেশত্ এ নারীদের স্বরূপ কেমন হবে তার বিভিন্ন বর্ননা দেয়া আছে। যেমন তারা সিল্কি শাড়ী পরবে, তাদের কালো ডাগোর চোখ থাকবে, ইত্যাদি। এটি চেষ্টা করে দেখুন – আপনার স্বামীর উদ্দেশ্যে সুন্দর সাজগোজ করুন, চোখে কাজল মাখুন – টানা টানা আঁখি পুরুষের আকর্ষনের বিষয়। স্বামীর জন্য নিজের সৌন্দর্য্য উৎসর্গ করুন।

৯. স্বামী কাজ শেষে ঘরে ফিরলে, তাকে হাসিমুখে অভিবাদন করুন এবং তার দিনের খোঁজ-খবর নিন।
– কল্পনা করুন স্বামী সারাদিনের পরিশ্রমের পর ঘরে এসে দেখলো পরিচ্ছন্ন ঘর, তার রাতের খাবার পরিবেশিত হচ্ছে ভালবাসা মিশ্রিত সুন্দর করে কাপড় পরে থাকা তার স্ত্রী wife , সন্তানদের সুন্দর হাসি – পরিপাটি জামা কাপড়, গোছানো শোবার ঘর… এ সকল বিষয় আপনার প্রতি তার ভালবাসা কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে?

একই ভাবে এর বিপরীত চিত্রটি চিন্তা করুন!!!

১০. স্বামীর মন জয় করুন।
– প্রত্যেক নারীর আল্লাহ প্রদত্ত একটি মুল্যবান অলংকার আছে। ফিতনাহ্ আল্লহর দান এই অলংকারের ব্যবহার করে আপনার স্বামীর মন জয় করতে পারেন সহজেই।

পরিশিষ্টঃ
* এই পোষ্ট সম্পুর্ন ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে দেয়। লিখাটি পড়ে অনেকে মনে করতে পারেন ধর্ম শুধু পুরুষদের প্রধান্য দেয় কিনা? ধর্মে অবশ্যই নারীর স্থান অনেক উপরে দেয়া হয়েছে – যা এই ছোট পরিসরে আলোচনা না করাই শ্রেয়।

* এই পোষ্টটি শুধুমাত্র পুরুষের পক্ষ নিয়ে করা – নারীরা কি রকম হওয়া উচিৎ পুরুষের চোখে মুলত সে বিষয়টি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে?

* এখানে যেসব বিষয় বলা হয়েছে তাতে অবশ্যই পুরুষেরও অনেক কিছু করনীয় আছে – যেহেতু পোষ্টটি সার্বজনীন নয় তাই নারীদের পক্ষ নিয়ে কোন বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়নি।

Comments

comments