বাদামি ডিম নাকি সাদা ডিম, কোনটি স্বাস্থ্যসম্মত?
বাদামি ডিম নাকি সাদা ডিম, কোনটি ভালো? আপনার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে হয়তো আপনি উত্তরে বলবেন, বাদামি রঙের ডিমটাই ভালো। যেহেতু আপনি অনেক আগে থেকেই জেনে আসছেন বাদামি রুটি, বাদামি গমের পাস্তা,বাদামি চিনি এগুলো সাদা রুটি, সাদা পাস্তা ও সাদা চিনির তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু আসলেই কি বাদামি ডিম ভালো? এই প্রশ্নের উত্তর নিয়েই এনডিটিভি প্রকাশ করছে একটি প্রতিবেদন।
প্রশ্নটা হলো আপনি কোন ডিম খাবেন এবং কেন খাবেন? বা ঘুরিয়ে বললে কোন ডিমটা ভালো বাদামি না সাদা? বাজারে যদি বাদামি ডিমের দাম বেশি হয়, তাহলেই কি সেটি ভালো? অথবা উল্টোটা? না এত ধাঁধার মধ্যে থাকার দরকার নেই।
বাদামি ডিম এবং সাদা ডিমের পুষ্টিগত তেমন পার্থক্য নেই। বাদামি ডিমে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড একটু বেশি রয়েছে। তবে সেই একটু বেশির পরিমাণ এতই নগণ্য যে সেটা না ধরলেই চলে। ফলে আপনি নির্দ্বিধায় বলতে পারেন সাদা আর বাদামি ডিম দুটোই সমান পুষ্টিগুণ ধারণ করে।
পুষ্টির বিষয়টি সুরাহা হওয়ার পর হয় তো আপনি প্রশ্ন করবেন তাহলে ডিমের রং দুটো আলাদা হয় কেন?
রং আলাদা হওয়ার কারণ লুকিয়ে রয়েছে মুরগির জিনে। সাদা ডিমগুলো আসে সাদা পালকের মুরগি থেকে যাদের রং সাধারণত সাদা বা হালকা। আর বাদামি ডিম পাড়ে বাদামি পালকের মুরগি। মুরগির জিনগত পার্থক্যের কারণেই ডিমগুলোর রং পাল্টে যায়। বিশ্বের সব মানুষ কি একই রঙের আর তাদের বাচ্চাগুলো?
তবে ভিন্ন গবেষণাও হয়েছে এই দুই ডিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে। ভিন্ন গবেষণা মানে ভিন্ন মত। বাদামি ডিম বেশি স্বাস্থ্যকর সাদার তুলনায়। কারণ, কোলেস্টেরল বা ক্যালোরির কথা যদি চিন্তা করেন তাহলে বাদামি ডিমই ভালো।
বাদামি ও সাদা ডিমের মধ্যে তেমন কোনো পুষ্টিগত পার্থক্য নেই। তবে বাদামি ডিমকে মনে করা হয় কৃত্রিমতাবর্জিত। মানে প্রকৃতির মাঝে বেড়ে ওঠা মুরগির ডিম বাদামি রঙের হয়, এমনটাই বিশ্বাস অনেকের। কিন্তু ভুলে যাবেন না খামারে যত্ন করে মুরগিকে খাওয়ালে সেটা আর ‘অর্গানিক’ থাকে না।
আপনারা সবাই জানেন খামারে মুরগির তথা ডিমের সুস্বাস্থ্যের জন্য নানা রাসায়নিক জিনিস মিশ্রিত করে খাওয়ানো হয়। ফলে প্রকৃতিতে পোকামাকড় খাওয়া মুরগির ডিম আর খামারে বেড়ে ওঠা মুরগির ডিম আলাদা হবেই। ডিমের রঙে কিছু এসে যায় না। বিষয়টি হলো মুরগি বেড়ে উঠছে কীভাবে, সেটা।
পুষ্টিমান নিয়ে মত ও দ্বিমত তো গেল। কিন্তু স্বাদ? বাদামি ও সাদা ডিমের স্বাদ কি ভিন্ন হয়? এটি নির্ভর করে মুরগির খাদ্যাভ্যাসের ওপর। মুরগি নিজে খাবার খেতে পারে বা খামারে মুরগির চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন খাবার খাওয়ানো হয়। এতে স্বাদে ভিন্নতা আসে ডিমেও।
যদি সাদা এবং বাদামি মুরগিকে একই রকম খাবার খাওয়ানো হয় তাহলে এর স্বাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাবে না এবং গুণগত মানেও তেমন কোনো পার্থক্য আসবে না।
তাই ডিম কিনতে গেলে রং নয় গুণগত মান খেয়াল করুন, মানে পচা ডিম কিনছেন না তো?
Related Posts
Comments
comments