কিসমিসে অভাবনীয় পুষ্টিগুণ
খাবারে স্বাদের সংযোজন ঘটাতে কিসমিসের কদর অনেক বেশি। বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাবার সাজাতে কিসমিস চাই-ই। কিসমিসে রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারী নানা গুণ। প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে পাবেন ২৯৯ কিলোক্যালরি শক্তি, কার্বোহাইড্রেট৭৯.১৮ গ্রাম, প্রোটিন ৩.০৭ গ্রাম, ফ্যাট ০.৪৬ গ্রাম, খাদ্যআঁশ ৩.০৭ গ্রাম, ফোলেট ৫ মাইক্রোগ্রাম, নিয়াসিন ০.৭৬৬ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১.৮৮ মিলিগ্রাম, ম্যগনেসিয়াম ২৯৯ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১০১ মিলিগ্রাম। এসব উপাদান বয়ে আনে যেসব স্বাস্থ্যগুণ, জেনে নেব সে সম্পর্কে।
– রক্তশূন্যতার কারণে অবসাদ, শারীরিক দুর্বলতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যতে পারে। কিসমিসে থাকা লৌহ উপাদান শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
– কিসমিসের বোরন নামক খনিজ পদার্থ হাড়ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিস রোগের উপযুক্ত প্রতিরোধক।
– রক্তের অধিক মাত্রায় অ্যাসিডিটির কারণে বাত, চর্মরোগ, হৃদরোগ ও ক্যানসার হতে পারে। কিসমিস রক্তের অ্যাসিডিটি কমায়।
– কিসমিসে থাকা খাদ্যআঁশ হজমে সহায়তা করে। খাদ্যআঁশ হজমে সাহায্য করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, নানা রকম জটিল অসুখের হাত থেকে বাঁচায়।
– খাবার খাওয়ার পর নিয়মিত দু’চারটা কিসমিস খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
– নিয়মিত কিসমিস খেলে বৃদ্ধ বয়সে অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব! কিসমিসে আছে প্রচুর পরিমাণ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে।
– কিসমিসে আছে অ্যান্টি-কোলোস্ট্রোরেল উপাদান যা রক্তের খারাপ কোলোস্ট্রোরেলকে হ্রাস করতে সাহায্য করে।
– শরীরে থাকা উচ্চমাত্রার সোডিয়াম, রক্তচাপ বাড়ার প্রধান কারণ। কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম শরীরের সোডিয়াম মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রেখে রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে।
– ওরাল হেলথের পক্ষে কিসমিস বিশেষ উপকারী। এর ফাইট্রোনিউট্রিয়েন্ট ওরাল ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করে।
– নিয়মিত কিসমিস খেলে শুক্রানু বৃদ্ধি পায়, যা উদ্যাম যৌনাকাঙ্ক্ষা মেটাতে দারুণ কার্যকরী ।