কতটা শারীরিক সম্পর্ক করলে তবে ব্যায়াম বলা যায়?
শারীরিক সম্পর্কেই লুকিয়ে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। এ কথাতো এতদিনে মোটামুটি আমাদের সকলেরই জানা। সুস্থভাবে বাঁচতে চান? চুটিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করুন। সুস্থ যৌন জীবন যে শুধুমাত্র মানসিক পরিতৃপ্তি এনে দেয় তা নয়, শারীরিক ভাবেও আমাদের চনমনে করে তোলে।
অন্য ভাবে বলতে গেলে শারীরিক সম্পর্কের ফলে ওয়ার্ক আউট করার সমান উপকার পাই আমরা। বেশ খানিক্ষণ ব্যায়াম করলে শরীরে যে পরিমাণ এনার্জি বার্ন হয়, ইন্টারকোর্সের পরও ঠিক তাই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন শারীরিক সম্পর্কের পর শ্বাস-প্রশ্বাসের হার, হার্টরেট ও রক্তচাপ বাড়ে। ঠিক যেমন বেশ কিছুক্ষণ ওয়ার্ক আউটের পর হয়। তাই এ কথা বলাই যায় যে শারীরিক সম্পর্কের আমাদের শরীরের প্রতিক্রিয়া ওয়ার্ক আউট করার সমানই হয়। ১৯৬০-এই বিশেষজ্ঞরা এ কথা জানিয়েছিলেন।
কিন্তু ঠিক কতটা উপকার হয় শারীরিক সম্পর্কের ফলে? সাম্প্রতিক এক গবেষণায় সেটাই জানার চেষ্টা করেন গবেষকরা। গড়ে আধ ঘণ্টা শারীরিক সম্পর্কের ফলে বিস্ক ওয়াকিং-এর মতো মাঝারি মাপের ওয়ার্কআউটের ৭৫% উপকার পাওয়া যায় বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। কিন্তু আরও একটি বিষয় নজরে পড়েছে গবেষকদের। তাহলে এ কথা বলা যেতে পারে, যে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে আর আলাদা করে ওয়ার্ক আউটের দরকার পড়ে না? উত্তরটা একই সঙ্গে ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’। কারণ শারীরিক সম্পর্কের ফলে শরীরের প্রতিক্রিয়া ব্যায়াম করার মতো হলেও, তার থেকে যে আমাদের শরীরে কোনও পরিবর্তন নজরে পড়বে তা নয়। অর্থাত্ শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে আপনার ওজন কমা বা মাসল তৈরি সম্ভব নয়। কারণ এর জন্য যতটা ওয়ার্ক আউট যতক্ষণ ধরে করা দরকার, ততক্ষণ ধরে শারীরিক সম্পর্কের করা হয় না।