এবার স্বর্ণ দিয়ে ক্যান্সারের চিকিৎসা
এবার স্বর্ণ দিয়ে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা যাবে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, ফুসফুসের ক্যান্সার চিকিৎসায় স্বর্ণের ছোট কণা ব্যবহার করা হলে তা ক্যান্সারবিরোধী ওষুধের কার্যকারিতা আরো বেশি বাড়িয়ে তুলবে। খবর বিবিসির।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জেব্রাফিশের মস্তিষ্কের মধ্যে স্বর্ণের টুকরা বসিয়ে তারা দেখেছেন সেটি ওষুধের কার্যকারিতার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
এই ছোট ছোট স্বর্ণের টুকরাগুলো মূলত গোল্ড ন্যানোপার্টিকেল নামে পরিচিত। এগুলো শরীরের সুস্থ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে।
স্কটল্যান্ডের এডেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের ওই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে জার্মান বিজ্ঞানভিত্তিক একটি জার্নাল ‘অ্যাংওয়ান্তে কেমি’তে।
টিউমার বা ক্যান্সার ধরা পড়ার কারণে কেমোথেরাপির সময় শরীরের অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে, স্বর্ণের ছোট কণিকার মাধ্যমে এক্ষেত্রে ক্যান্সার কোষ বা টিউমার সারাতে বেশ সাহায্য করতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
যদিও কোনো মানবদেহে এটি এখনো পরীক্ষা করে দেখেননি বিজ্ঞানীরা। তবে তারা আশা করছেন কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে স্বর্ণের কণা দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে।
যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট (সিআরইউকে) এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ফিজিকাল সাইন্স রিসার্চ কাউন্সিলের অর্থায়নে এই গবেষণা কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। এতে সমন্বয় করেছে স্পেনের ইউনিভার্সটি অব জ্যারাগোজার ইনস্টিটিউট অব ন্যানোসাইন্স অব অ্যারাগোন।
ইউনিভার্সিটি অব এডেনবার্গের ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টারের গবেষক ডঃ অ্যাজিয়ের আনচিতি-ব্রোকেটা বলছেন, আমরা স্বর্ণের নতুন বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করেছি যা আমরা আগে জানতাম না। এই ধাতুটি মানুষের শরীরে ওষুধের প্রয়োগ ঘটাতে পারে খুবই নিরাপদ উপায়ে।
যদিও রোগীদের ওপর এটা প্রয়োগ করার আগে এটা নিয়ে আরো অনেক কাজ করার আছে। কিন্তু মানবদেহের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ সারাতে কেমোথেরাপি দেবার ফলে যে খারাপ প্রভাব পড়ে তা অনেকদূর কমিয়ে দেবে এই ধাতুটি। এমনটাই আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।