রসুনের অজানা যত গুন
রান্নায় রসুনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। রসুন শুধু খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণই বাড়ায় না, একই সঙ্গে এটি শরীরও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
রসুন মূলত অ্যান্টিবায়োটি হিসেবেই কাজ করে থাকে। সর্দি, কাশি, উচ্চরক্তচাপসহ অন্যান্য অসুখের বিরুদ্ধেও লড়ে। রসুনে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন ও খনিজ।
ঔষধি গুণের জন্য রসুনের কদর চিরকাল। কাঁচা রসুন খাওয়া অভ্যাস করতে পারলে এড়ানো যায় অসংখ্য রোগ।
প্রতিদিন মাত্র ২ থেকে ৩ কোয়া রসুন থেকে পাওয়া যাবে ১০টি উপকারিতা।
-উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর করে। সেই সঙ্গে যক্ষ্মা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
-হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। পাশাপাশি পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করে।
-স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
-যৌন ক্ষমতাও বাড়াতে সাহায্য করে। যৌনমিলনের অসাবধানতাবশত রোগ ট্রিকোমোনিয়াসিসের হাত থেকে রক্ষা করে।
-রান্না হয়ে গেলে রসুনের মধ্যে থাকা অ্যালিসিন অ্যাসিড নষ্ট হয়ে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি অ্যালিসিনের প্রাথমিক উপকারিতা হল ক্যান্সার রুখে দেওয়া। অ্যালিসিন অ্যাসিড শরীরে ক্যান্সারকে বাসা বাঁধতে দেয় না। তাই কাঁচা রসুন খেলেই একমাত্র অ্যালিসিন শরীরে ঢোকে।
-চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
-দাদ, খোস-পাঁচড়া ধরণের চর্মরোগের হাত থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি চামড়ায় ফোসকা পড়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়। ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ব্রণ সমস্যা দূরে রাখে।
-বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার যেমন— কোলন, প্রোস্টেট, গলব্লাডার, রেক্টাল ক্যান্সারের হাত থেকে মুক্ত রাখে।
-দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমি ধ্বংস করে। ক্ষুধামন্দা ভাব দূর করে।
-গাঁটে ব্যথা বা আর্থরাইটিস থেকে স্থায়ী মুক্তি মেলে রসুনে। কোনও অসুখ হলে চিকিৎসকরা নানা অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করেন। এসব অ্যান্টিবায়োটিক ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া মারার পাশাপাশি উপকারী ব্যাক্টেরিয়াগুলিকেও মেরে ফেলে। সেখানে রসুন হচ্ছে অন্যতম প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক।
সাবধানতা
এত উপকারিতে থাকা সত্ত্বেও অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভোগা মানুষদের রসুন না খাওয়াই ভালো।