অনিদ্রায় শরীরের মারাত্মক ক্ষতি
দিনের কাজ শেষে দেহে ভর করে ক্লান্তি। তারওপর আবার পরের দিনের জন্য নিজেকে কাজের উপযোগী করা। এসব কারণে প্রয়োজন হয় পর্যাপ্ত ঘুমের। অথচ রাতে ছয় ঘণ্টারও কম ঘুমান এমন মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। কম ঘুমের মানুষদের এক-চতুর্থাংশ কার্ডিওভাসকুলার নামক সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাদের ধমনীতে রক্ত চলাচলে বাধা, দুর্বল বোধ করাসহ দুর্বল হার্টবিটের সমস্যা হতে পারে। সম্প্রতি ‘স্লিপ’ জার্নালে হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষকদের প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। তাদের গবেষণায় অনিদ্রার কারণে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি সম্পর্কে নানা তথ্য উঠে এসেছে। যেমন-
মাতাল
টানা ২৪ ঘণ্টা নির্ঘুম কাটালে মস্তিষ্কের কগনিটিভ মোটরটি অ্যালকোহল খাওয়া মানুষের মতো মাতাল হতে পারে। এ সময় মধ্যম ক্যাফেইনযুক্ত এক কাপ কফি খেয়ে নিজেকে চাঙ্গা করে নিতে পারেন।
পাকস্থলী
যারা অভ্যাসগতভাবে দিনে ৫ ঘণ্টা ঘুমান তাদের পাকস্থলীতে লেপটিন হরমোনের পরিমাণ ১৫.৫ শতাংশ কমে যায়। এটি আপনাকে ভরপেট অনুভব করতে সহায়তা করে এবং ফ্যাট সঞ্চয়ের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে।
কোমর
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, যারা রাতে মাত্র ৫ ঘণ্টা ঘুমান তাদের বডি ম্যাস ইনডেক্স গড়ের চেয়ে ৩.৬ শতাংশ বেশি থাকে। তাদের মাঝে স্থূলতা দেখা দেয়। বিশেষ করে কোমরে চর্বি জমে যায়।
রক্তচাপ
রাতে যারা ৬ ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের সিসটোলিক বিপি ১৩২-এ উঠে যায়। এর স্বাভাবিক মাপ ১২০ এর কম। ঘুমের অভাবে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায় যাকে স্ট্রেস হরমোন বলা হয়।
অগ্ন্যাশয়
রাতে গড়ে ৬ ঘণ্টা ঘুমের কারণে পুরুষদের ডায়াবেটিস দেখা দেওয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। ইয়েল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
মস্তিষ্ক
টানা তিন দিন ধরে দিনে ১৯ ঘণ্টা করে জেগে থাকলে মস্তিষ্কের কোষগুলো মরে যাওয়া শুরু করে। এ সমস্যায় আলঝেইমার এবং ডেমেনশিয়াহওয়ার প্রোটিনকে মস্তিষ্ক পরিষ্কার করতে পারে না।