জেনে নিন স্বাস্থ্য কথা ঘুম কম হওয়ার ফলে সৃষ্ট কতগুলো নেতিবাচক শারীরিক প্রভাব
আজকের দিনগুলোতে অধিক সম্ভাবনা রয়েছে ভালো ঘুম না হওয়ার। আজ আমরা পাঠকদের জন্য তুলে ধরবো ভালো ঘুম না হওয়ার ফলে সৃষ্ট কিছু সমস্যা, যা আপনার একান্ত জানা দরকার।
১. ভালো ঘুম না হলে ক্যান্সার ঝুকি বাড়ে বিশেষকরে ব্রেস্ট এবং প্রোটেস্ট ক্যন্সার। ডব্লিউএইচও এর মতে ভালো ঘুম না হওয়ার ফলে শরীরের কার্নিকোজেন ভালো কাজ করে না ফলে অস্বাভাবিক কোষবৃদ্ধি পায়।
২. আপনি যদি শরীরের ওজন কমাতে চান তবে ভালো ঘুম না গেলেও চলবে। ভালো ঘুমের ফলে খাবারের প্রতি তৃপ্তি সৃষ্টি হয়।
৩. ভালো ঘুম না হলে শরীরের জ্বালাপোড়া বেড়ে যায়। শারীরিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়।
৪. ঘুম কম হওয়ার ফলে মানসিক ডিপ্রেশন বা হতাশা বেড়ে যায়। ঘুমের ঘাটতি সরাসরি মস্তিস্কের মাঝে প্রভাব ফেলে ফলে তা ডিপ্রেশন সৃষ্টি করে। কখনো কখনো তা আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে।
৫. ভালো ঘুম না হলে ব্যক্তির নিজের মানসিক নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হয়। যাদের ভালো ঘুম হয় তারা খুব সহজেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
৬. ঘুম কমে গেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। যার ফলে একজন ব্যক্তি খুব দ্রুত রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়।
৭. ডায়াবেটিসের ঝুকি বেড়ে যায় ঘুম কম হওয়ার ফলে কারণ এটি ব্যক্তির শরীরে ইনসুলিনের ক্ষেত্রে বাঁধা সৃষ্টি করে। মেডিকেল রিপোর্ট বলে ঘুম কম হলে ব্যক্তির শরীরে টাইপ-২ ডায়াবেটিস দানা বাঁধে।
৮. যখন আপনি যথেষ্ট পরিমাণ ঘুমাবেন না তখন আপনার ত্বকের কোর্টিসল হরমোন নষ্ট হয়ে যাবে। যার ফলশ্রুতিতে এটি আরো ভয়ানক প্রভাব ফেলবে আপনার শরীরে, আপনার ত্বকের কোষের কোলাজেনকে ভেঙ্গে ফেলবে। ফলে আপনার ত্বক পুরোপুরিভাবে নষ্ট হয়ে যাবে।
৯. গবেষকরা দেখেছেন, ভালো ঘুম না হলে মস্তিস্কতে আজেবাজে চিন্তা দানা বাঁধে। ভালো ঘুমের ফলে মস্তিস্ক প্রাণচাঞ্চল্য থাকে ফলে বাজে চিন্তা দূর হয়ে যায়।
১০. যেসকল লোক রাতে ৬ ঘন্টার কম ঘুমায় তাদের আয়ু যারা ছয়ঘন্টার চেয়ে বেশি ঘুমায় তাদের আয়ুর চেয়ে কমে যায়। ফলে বোঝা যাচ্ছে ভালো ঘুম আয়ুবৃদ্ধি করে।
১১. ঘুম কম হলে ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। চিকিৎসকরা বলেন, আপনি যদি ওষুধ সেবনকালে সাতঘন্টার চেয়ে কম ঘুমান তাহলে ওষুধের কার্যকারী কোন প্রভাব শরীরে কাজ করে না।
১২. ঘুম ভালো না হওয়ার ফলে শরীরের মেটাবলিজম একধরনের হরমোন ত্যাগ করে যা একদিন হার্ট অ্যাটাকের মতো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
১৩. ভালো ঘুম না হলে আপনার সবকিছু বিভ্রান্তিমূলক মনে হবে। আপনি ভাববেন ঠিকভাবেই কাজ করতে পারছেন কিন্তু না আপনি বিভ্রমে ভুগছেন যা আপনি ধরতেই পারবেন না। এটি আপনার কর্মক্ষমতাকে নষ্ট করবে।
১৪. উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণই হলো ভালো ঘুম না হওয়া। ৬ ঘণ্টার চেয়ে কম ঘুম ব্যক্তির স্ট্রোকের ঝুকি বাড়ায়। এর ফলে শারীরিকভাবে আপনার মধ্যে দুর্বলতা বৃদ্ধি পাবে। আপনার হার্টবিট হবে অনিয়মিত।
১৫. কম ঘুমের ফলে হাড়ের ক্ষয় বৃদ্ধি পায়। যার ফলে আপনার শরীরে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথার সৃষ্টি হবে।
ঘুম কমে যাওয়া কিংবা ঘুম কম হওয়ার ফলে আরো অনেক ধরনের শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয় তার মধ্যে রয়েছে মস্তিস্কের সৃতিশক্তি লোপ পাওয়া, সৃজনশীলতা লোপ পাওয়া তার পাশাপাশি গাড়ি চালানোর সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
তথ্যসূত্রঃ লিস্ট২৫