খেজুরের যাদু, মুহূর্তেই সুখ!
খেজুর খেতে অনেকেই ভয় পান। ভাবেন খেজুর ওজন বাড়ায়। তাই ডায়াবেটিস রোগীও খেজুর থেকে একশ হাত দূরে থাকেন। কিন্তু তারা জানেন না, খেজুরে ফ্যাট নেই। খেজুর খুব উপকারী। খেজুরে ওজন তো বাড়েই না, উপরন্তু ওজন কমিয়ে দেয়। মুহূর্তেই শরীরে উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়।
খেজুর মিষ্টি ফল হলেও এতে ক্ষতিকর কোনো উপাদান নেই। খেজুর শরীর চাঙ্গা রাখে। খেজুরে আছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, মিনারেল, আয়রন , ভিটামিন ও প্রচুর আঁশ।
উষ্ণতা বাড়ায়
খেজুরে আছে প্রচুর ভিটামিন, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও আঁশ। এসব উপাদান শরীরের উষ্ণতা বাড়ায়। শীতের দিনে খেজুর খেলে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে।
ঠান্ডা থেকে রক্ষা
ঠান্ডায় খেজুর মহৌষধ। দুই-তিনটি খেজুর, কয়েকটি মরিচ ও এক-দুইটি এলাচ পানিতে সেদ্ধ করে রাতে শোবার আগে খেলে ঠান্ডা বাড়ি ছেড়ে পালাবে।
হাঁপানি রোগ সারায়
শীতকালে হাঁপানি রোগ বাড়ে। সকাল-বিকেল নিয়মিতভাবে একটি করে খেজুর খেলে হাঁপানি আসবে না ধারে-কাছেও।
শক্তি বৃদ্ধি করে
খেজুরের প্রাকৃতিক উপাদান দেহের শক্তি বাড়ায়। শরীরকে কর্মক্ষম রাখে। বাড়ায় যৌনক্ষমতা। যৌবন ধরে রাখতেও খেজুরের জুড়ি নেই।। নিয়মিত খেলে শরীরে সিংহের শক্তি পাওয়া যাবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য সারায়
অনেকের পায়খানা সবসময় কষা থাকে। নিয়মিত শাক-সবজি খেলেও কষা সারে না। তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। খেজুরে আছে প্রচুর আঁশ। কষা সারাতে খেজুর দারুন কাজ দেয়।
হার্টের জন্য ভালো
খেজুরে আঁশ হার্ট ভালো রাখে। হার্টরেট কাজ করে ভালোভাবে। তাই খেজুর খেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে যায়।
বাত রোগ সারায়
অনেকে বাত-ব্যথায় খুব কষ্ট পান। কোনো ওষুধেই সারে না। খেজুরে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ। এটি বাত সারাতে দারুন কার্যকর।
উচ্চ রক্তচাপ কমায়
খেজুরের পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমায়। নিয়মিত খেজুর খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে দৈনিক পাঁচ-ছয়টি খেজুর খেলে দারুন কাজে দেবে।