যারা বেশি যৌনমিলন করেন তাদের ৬টি বিজ্ঞানসম্মত গোপন বিষয়
কোনো দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে যৌনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিবাহিত লোকরা তাদের যৌনজীবন নিয়ে সুখী হলে তারা তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়েও সুখী হন। কিন্তু কর্মজীবনের ব্যস্ততা এবং ব্যক্তিগত শিডিউল মিলাতে না পারার কারণে অনেকেই দাম্পত্য সম্পর্কে যৌনজীবন নিয়ে হতাশায় ভোগেন।
তবে যারা একটি স্বাস্থ্যকর, সক্রিয় যৌন জীবন যাপন করতে সক্ষম হন তারা কোনো জাদুকর-জাদুকরী নন। বিজ্ঞানসম্মত কারণেই তারা এমন স্বাস্থ্যকর এবং সক্রিয় যৌন জীবন যাপনে সক্ষম হন।
যারা নিয়মিত যৌনতা উপভোগ করেন গবেষণায় তাদের জীবনের ৬টি বিজ্ঞানসম্মত গোপন বিষয় বেরিয়ে এসেছে :
১. যারা বেশি সহবাস করেন তারা অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ।
কারো ব্যক্তিত্ব যৌনতাসহ তার জীবনের প্রতিটি দিককেই প্রভাবিত করে। জার্নাল অফ রিসার্চ ইন পার্সোনালিটিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নববিবাহিত দম্পতির নারী সদস্যটি তার স্বামীর সঙ্গে সহজেই একমত পোষণ করেন অথবা অপরকে সন্তুষ্ট করার মতো প্রবণতাসম্পন্ন হন সেসব দম্পতি অন্য আর যে কোনো দম্পতির চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে যৌনতা উপভোগ করেন।
গবেষণায় ব্যক্তিত্বের ৫টি বড় বৈশিষ্ট্যের ওপর নজর দেওয়া হয়- সুবুদ্ধি, নমনীয়তা, অকপটতা, আবেগময়তা ও বহির্মুখীনতা।
গবেষণায় আরো দেখা যায়, বেশির ভাগ সময় পুরুষরাই প্রথমে যৌনতার উদ্যোগ নিলেও নারীরাই চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করেন তারা যৌনতায় লিপ্ত হবেন কি হবেন না।
২. পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান
ছোট্ট একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সামান্য কয়েক ঘণ্টা বেশি ঘুমানোর ফলে কলেজ-বয়সী নারীদের মধ্যে উচ্চ যৌনাকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়।
৩. যৌনমিলনের সময় তারা ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ কথাটি বলেন
আবেগগত ঘনিষ্ঠতা সত্যিকার অর্থেই শারীরিক ঘনিষ্ঠতাকেও উসকে দেয়। জার্নাল অফ সেক্স রিসার্চে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যৌনজীবনে সন্তুষ্ট পুরষদের ৭৫% আর সন্তুষ্ট নারীদের ৭৪% বলেছেন তাদের সঙ্গী বা সঙ্গিনী যৌনমিলনের সময় ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ কথাটি বলেছেন। একই নারী-পুরুষরা এও বলেছেন, খোশমেজাজ এবং যৌন উত্তেজক আলাপ-আলোচনাও যৌন সন্তুষ্টি অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৪. পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, যৌনমিলনের ক্ষেত্রে নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে দম্পতিরা যৌনতাকে আরো উপভোগ্য করে তোলেন। এ ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চালান। আর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে গিয়ে কামসূত্রের দ্বারস্থ হন তারা।
৫. নিয়মিত শরীরচর্চা করেন
নিয়মিত শরীরচর্চা করলে যৌনমিলনের সময় ইতিবাচক ফল দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত শারীরিক তৎপরতা যৌন আকাঙ্ক্ষা বাড়ায়। বিশেষকরে পুরুষদের ক্ষেত্রে কথাটি বেশি সত্য। ২০১৫ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষরা বেশি শরীরচর্চা করেন তাদের লিঙ্গোত্থানে কোনো সমস্যা হয় না।
৬. দাম্পত্য সম্পর্কের দায়িত্ব হিসেবেই শুধু যৌনমিলন করেন না
যৌনতা মূলত আনন্দদায়ক বা উপভোগ্য তৎপরতা হিসেবেই বিবেচিত হওয়া উচিত। এটিকে শুধু দাম্পত্য সম্পর্কের একটি গতানুগতিক দায়িত্ব হিসেবে গণ্য করা ঠিক না। কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, যখন দম্পতিরা যৌনতাকে দৈনন্দিন একটি রুটিনে পরিণত করেন তখন তারা একে নিত্যদিনের গৃহস্থালি কাজের মতোই বিবেচনা করেন। যার ফলে একটা সময়ে গিয়ে তারা যৌনতার আগ্রহ হরিয়ে ফেলেন।
সুতরাং যৌনতাকে উপভোগ্য করে তুলতে হলে একে শুধু একটি দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা না করে বরং আকাঙ্ক্ষাকে প্রধান্য দিতে হবে। যাতে একঘেয়েমি ধরে না যায় বা বিরক্তি উৎপাদিত না হয়।