৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শনিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

জেনে নিন- শরীরের ঘামে কি কি সমস্যা হতে পারে এবং সমাধান

আমরা প্রতিদিন কোন না কোন উপায়ে সারাদিনে প্রচুর পরিমান ঘাম শরীর থেকে বের করে থাকি। শরীর থেকে ঘাম বের হওয়ার যেমন স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে তেমন অতিরিক্ত ঘাম শরীরের বয়ে নিয়ে আসতে পারে অনেক কঠিন ও জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা। শরীর থেকে ঘাম বের হওয়ার অনেক কারন থাকে তার মধ্যে পুষ্টির অভাব, মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সমস্যা থেকে সমাধানের জন্য রয়েছে প্রাকৃতিক উপায়। উপরের কারণগুলো ছাড়াও স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়- ডায়বেটিস, হৃদরোগ, স্থূলতা ইত্যাদির কারণেও ঘাম বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ঘাম কমানোর জন্য যা করতে পারেন- অতিরিক্ত ঘাম বের হলে সবার প্রথমে প্রচুর পরিমান পানি পান করুন।

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: এতে থাকা ‘অ্যাস্ট্রিনজেন্ট’ শরীরের পিএইচ’য়ের ভারসাম্য বজায় রাখে, ফলে ঘাম নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি এর ঘামরোধী উপাদান ত্বকের উপরে একটি আবরণ তৈরি করে, ফলে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শরীরের যেসব স্থানে ঘাম বেশি হয় সেসব স্থানে তুলার বল পানিতে গোলানো অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে চুবিয়ে ব্যবহার করে পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে। গোসলের পানিতে এই ভিনিগার মেশালেও উপকার মিলবে।

লেবু: এর সিট্রিক অ্যাসিড ঘাম হওয়ার জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়া ও দুর্গন্ধ দূর করে। কাজ করে প্রাকৃতিক ডিওডোরেন্ট হিসেবে। প্রতিদিন রাতে ১ চা-চামচ লেবুর রসের সঙ্গে ১ চা-চামচ বেইকিং সোডা মিশিয়ে শরীরের যেসব অংশে ঘাম বেশি হয় সেখানে তুলার সাহায্যে প্রয়োগ করতে হবে। ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। লেবু সরাসরি বগলে ঘষতে পারেন। ঘুমানোর আগে ব্যবহার করে সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে।

নারিকেল তেল: নারিকেল তেলের ‘লরিক অ্যাসিড’ ঘাম থেকে তৈরি ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে। রাতে গোসলের পর ঘাম হয় এমন স্থানগুলোতে অপরিশোধিত নারিকেল তেল মালিশ করতে হবে ৪৫ মিনিট ধরে। পরদিন সকালে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে প্রতিদিন রাতে মাখতে হবে।

আলু: শরীর থেকে বাড়তি পানি শুষে নেওয়ার গুণ থাকায় আলুও ঘাম নিরোধক হিসেবে কার্যকর। ঘাম হয় এমন স্থানে এক টুকরা কাটা আলু কয়েক মিনিট ঘষতে হবে। স্থানটি শুকয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। আলুর রস তুলার সাহায্যেও লাগাতে পারেন। বাড়তি রস বায়ুরোধক পাত্রে করে ফ্রিজারে রেখে ব্যবহার করা যাবে।

চা: ‘ব্ল্যা টি’তে থাকা ট্যানিক অ্যাসিড ঘর্মগ্রন্থি নিষ্ক্রিয় করতে পারে। আর এই অ্যাসিডে থাকা ‘অ্যাস্ট্রিনজান্ট’ উপাদান ঘর্মগ্রন্থি টানটান করতে সাহায্য করে, ফলে ঘাম হয় কম।

কয়েকটি টি ব্যাগ গরম পানিতে চুবিয়ে রাখুন। তারপর তুলায় সেই চা ভিজিয়ে ঘামপ্রবণ জায়গায় ব্যবহার করতে হবে। শুকায় গেলে গরম পানিতে গোছল করতে হবে। প্রতিদিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে উপকার মিলবে।

Comments

comments