অনিরাপদ যৌন সংসর্গে জড়িয়ে পড়ছে তরুণ-তরুণীরা। সারা বিশ্বেই এই হার দিনকে দিন বাড়ছে। নতুন প্রজন্মের এসব টিনএজার জন্মনিয়ন্ত্রণের কার্যকর উপায় সম্পর্কেও অজ্ঞ। নতুন একটি গবেষণায় এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে। ক্লুলেস অর ক্লড আপ, ইয়োর রাইট টু বি ইনফর্মড অ্যাবাউট কন্ট্রাসেপশন নামে গবেষণাটি পরিচালনা করে করে যুক্তরাষ্ট্রের বেয়ার হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।

২৬টি দেশে ছয় হাজার তরুণ-তরুণীর ওপর ওই গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। এ সব দেশের মধ্যে চিলি, পোল্যান্ড এবং চীনও রয়েছে বলে ফক্স নিউজ ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়।

বিশ্ব গর্ভ-নিরোধ দিবস (ওয়ার্ল্ড কন্ট্রাসেপশন দিবস-ডব্লিউসিডি) উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন সঙ্গীর সঙ্গে অনিরাপদ যৌন সংসর্গে জড়িয়ে পড়ার হার ফ্রান্সে ১১১ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ৩৯ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যে ১৯ শতাংশ। এই হার গত তিন বছরের।

গবেষণার সঙ্গে জড়িত ডব্লিউসিডি’র টাস্কফোর্সের সদস্য ডেনিস কেলার বলেন, গর্ভ-নিরোধ সম্পর্কে তরুণ-তরুণীরা বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাচ্ছে না কিংবা তা পেতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। সারা বিশ্বেই এই চিত্র চোখে পড়েছে। শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে এখনও অনেক আজগুবি এবং ভ্রান্ত ধারণা তরুণ-তরুণীদের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে।

গবেষণায় আরও বলা হয়, অপরিকল্পিত গর্ভধারণ সারাবিশ্বেই একটি আলোচ্য ইস্যু। কয়েকটি দেশের তরুণ-তরুণীদের অনিরাপদ যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ওই সব দেশে যৌন-শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ইউরোপে গবেষণায় অংশ নেওয়া তরুণ-তরুণীদের অর্ধেক বলেছে, তারা স্কুল থেকে যৌন বিষয়ে শিক্ষা পেয়েছে।

অন্যদিকে লাতিন আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং যুক্তরাষ্ট্রে তিনভাগের-একভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সচেতনতামূলক তথ্য পাওয়ার কথা বলেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছে, তারা স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিত্সককে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করতে বিব্রত বোধ করেছেন।