যান্ত্রিক কণ্ঠস্বরের প্রেমে ও যৌনতায় মজেছে মানুষ!
মানুষের ভালোবাসা খুব দ্রুতই বাড়ছে যন্ত্রের প্রতি। ম্যাশেবল ইন্ডিয়ার খবরে জানা যায়, ৫ এপ্রিল প্রকাশিত ইন্ডাস্ট্রি ট্রেন্ড রিপোর্ট জানিয়েছে যে গুগল হোম, অ্যামাজন ইকোর মতো কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিগুলোর ক্ষেত্রে যান্ত্রিক কণ্ঠস্বরের প্রেমে পড়ছে মানুষ।
এর চেয়েও অবাক করা বিষয় এই যে, ‘এই নিয়মিত কণ্ঠস্বর প্রযুক্তির ব্যাবহারকারীদের অর্ধেকের আবার যান্ত্রিক কণ্ঠস্বরদের প্রতি যৌনখেয়ালও জাগে।’
বর্তমানে চলছে অ্যালেক্সার যুগ, আর এ যুগে মানুষ কণ্ঠস্বরের প্রেমে পড়বে—এটা খুব বেশি বিচিত্র নয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে এভাবে লেখা হয়েছে যে—যারা নিয়মিত তৃতীয় প্রজন্মের কণ্ঠস্বরের প্রযুক্তি ব্যবহার করছে তাদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ তাদের যন্ত্রের কণ্ঠস্বরকে এতটাই ভালোবাসেন যে তাদের মনে সেই যন্ত্রকে মানুষের মতো করে পেতে ইচ্ছে করে।
তবে আপনার এই অবাক হওয়ার মাত্রা অনেকটাই কমে আসবে যখন ওয়াল্টার থমসন ইনোভেশন গ্রুপ অ্যান্ড মাইন্ডশেয়ারের রিপোর্ট আপনি পড়বেন, ‘এই সকল কণ্ঠস্বর ব্যবহারকারীরা বেশির ভাগই যুবক, পুরুষ এবং ধনী।’
ইন্টারনেট সংযোগের যুগে সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন যন্ত্রের প্রতি ভালোবাসাকে মানুষ ট্রেন্ডে পরিণত করবে। আর অ্যামাজনের মতো অন্যান্য কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বিক্রেতাদের জন্য এটি মার্কেটিংয়ের দারুণ সুযোগ। তারা বলতেই পারে, অ্যামাজনের নতুন পণ্যের প্রেমে পড়লেই নতুন করে আবারও অ্যামাজন প্রাইমের সদস্য হতে পারবেন।
প্রতিবেদনটি আরও জানায়, এসব পণ্যের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের দ্বারপ্রান্তে কণ্ঠস্বর প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। এর ফলে তাদের মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হবে। এ ধরনের জীবন্ত প্রতিমূর্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়তো বিধ্বংসী হতে পারে কিন্তু যান্ত্রিক কণ্ঠস্বরকে কল্পনা করা অতটা ক্ষতিকর নয় বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।