আমাদের দেশে বর্তমানে ব্রকলি খুব পরিচিত একটি সবজি। ব্রকলি দেখতে অনেকটা ফুলকপির মতো কিন্তু গায়ের রঙ সবুজ। অনেকেই এর গুণাগুণ সম্পর্কে কমই জানে। অথচ এই খাবার পুষ্টিগত কারণে অন্য অনেক খাবারের থেকে এগিয়ে এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে নিজের স্থান করে নিয়েছে।

* ক্যানসার ঝুঁকি কমায়:
এটা সম্ভবত মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর ব্রকলির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা। ব্রকলিকে অন্যতম শক্তিশালী ক্যানসার বিরোধী খাদ্য বলা যেতে পারে এর খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টির বৈশিষ্ট্যের জন্য।

* সুস্থ ত্বক:
ব্রকলিতে থাকা গ্লুকোরাফানিন বৈশিষ্ট্য ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের টিস্যু মেরামত করে এবং ত্বক উন্নত করে|

* স্নায়ুতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ:
ব্রকলি পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ, যা একটি সুস্থ স্নায়ুতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ|

* হাড়ের শক্তি যোগায়:
অনেক পরিচিত সবজির চেয়ে ব্রকলিতে ক্যালসিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি, যা অন্য অনেক সবজিতে এতো বেশি মাত্রায় পাওয়া যায় না। ক্যালসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান|

* অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য:
ব্রকলির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য অন্য খাবারের থেকে একে উচ্চতম স্থানে রাখে। ব্রকলিতে প্রচুর পরিমানে ফ্ল্যাভোনয়েড, লিউটেনের সঙ্গে ক্যারটিনয়েড, বিটা-ক্যারোটিন এবং জিক্সানথিন- সব শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা অনেক গুরুতর রোগ প্রতিরোধ করে।

* ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে:
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে এমন খাদ্যের মধ্যে ব্রকলি অন্যতম। এটা চিনির প্রভাব রোধ করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কম রাখে। কেননা ব্রকলি ভালো কার্ব যা ফাইবার সমৃদ্ধ বলে পরিচিত।

* মানসিক চাপ কমায়:
নিয়মিত ব্রকলি খেলে পুষ্টিগুণে তা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

* কোলেস্টেরল কমায়:
ব্রকলিতে প্রচুর পরিমানে দ্রবণীয় ফাইবার আছে যা শরীর থেকে কোলেস্টেরল বের করে দেয়।

* পাচনতন্ত্র পরিষ্কার রাখে:
ব্রকলি একটি প্রাকৃতিক ডেটক্স যা পেট এবং পাচনতন্ত্র পরিষ্কার রাখে। ব্রকলিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রা বেশি বলেই এটা সম্ভব হয়।