কলার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন
কলার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই অজানা। কলা খেলে স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভাল, তা না ভেবে, কলা খেলে কি কি অসুবিধা হতে পারে, তা নিয়ে আমরা বেশি চিন্তিত।
কলায় থাকে তিনটি প্রাকৃতিক চিনি – সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ, আরও থাকে প্রচুর ফাইবার যা দেয় শরীরকে যোগান দেয় তাৎক্ষণিক শক্তি। ৯০ মিনিটের কষ্টসাধ্য ব্যায়ামের জন্য শক্তি যোগাতে দুটো কলাই যথেষ্ট! এজন্যই পৃথিবীর বড় বড় এথলিটদের কাছে কলাই হলো ১ নম্বর ফল!
কলার গুণাগুণ নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হল-
১. দুশ্চিন্তা দূর করেঃ কলায় থাকে ট্রিপটোফ্যান নামক প্রোটিন, যা শরীরে গিয়ে সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়। সেরোটোনিন আপনার মনকে রিলাক্স করে, আপনার মুড ভাল করে তোলে, এতে আপনি সারাক্ষণ হাসিখুশি থাকবেন।
২. এনিমিয়াঃ কলায় থাকে প্রচুর আয়রন। রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে কলা সাহায্য করে। যা এনিমিয়া রোগের জন্য অত্যন্ত সাহায্যকারী।
৩. রক্তচাপঃ কলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে এবং এতে লবণ কম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি খুবই ভাল কম্বিনেশান। বলা হয়, স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্যেও কলা উপকারী।
৪. মস্তিষ্কঃ পটাশিয়ামের উপস্থিতি মস্তিষ্ককে দ্রুত কাজ করতে সাহায্য করে। যা স্মৃতিশক্তি ভাল করে তোলে।
৫. ডায়াবেটিক রোগীদের সমস্যা হয় নাঃ অনেকে ভাবে কলায় প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি থাকার ফলে, এটি ডায়াবেটিক রোগীদের খাবারের অনুপযোগী। কিন্তু কলা শরীরে শক্তি যোগায়, আর ডায়াবেটিক রোগীদের সুগারেও কোন সমস্যা করে না।
৬. মেদ কমায়ঃ কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পেক্টিন থাকে। যা আপনার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
৭. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাঃ কলায় প্রাকৃতিক এন্টাসিড থাকে। এতে যাদের গ্যাসের সমস্যায় বুক জ্বলে, তারা একটি কলা খেলেই বুক জ্বলা থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়াও কলা আলসারের জন্য উপকারী। পাকস্থলির অম্লতা কমাতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে একটি কলা খান।
৮. স্ট্রোকের ঝুকি কমায়ঃ গবেষণা অনুযায়ী, প্রতিদিনকার খাদ্যাভাসে কলা রাখলে ৪০% স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়! কলার পটাশিয়াম আপনার হার্টবিট ঠিক রাখে। অক্সিজেন মস্তিষ্কে নিয়মিত পৌঁছে দেয়, শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে।