ছেলেদের ৩০ এর পর শরীরে কী পরিবর্তন হয়
৩০ এর পর ছেলেদের শরীরে কী পরিবর্তন হয়?এই বয়সে পুরুষ নারী সবার শরীরেই কিছু কিছু পরিবর্তন হয়, কিন্ত আজ আলোচনার বিষয় শুধুই পুরুষ।প্রাথমিক ভাবে হাড়ের ঘনত্ব কমতে পারে,আপনার মাংসপেশী সংকোচিত হয় এবং নমনীয়তা কমতে পারে,আপনার টেস্টেস্টরন মাত্রা কমতে পারে,আপনার যৌনশক্তি কমতে পারে,আপনার দেহের শক্তি কমতে পারে,আপনার হার্টের কার্যক্ষমতা কমে,শরীরের পাচন ক্ষমতা কমে, এরকমই অনেক কিছু। ৩০-এর পর তাহলে করবেন কী?নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষার প্রয়োজন ৩০-এর পর।ডাক্তারের পরামর্শ মেনে,একটা সুস্থ্য জীবনধারা বেছে নিন।পরবর্তী পদক্ষেপ হল খাওয়ার পাল্টানো।খাওয়ার পরিমাণ কমান কারণ শরীরের পাচন ক্ষমতা কমে যায়। এছাড়া আপনার সব খারাপ অভ্যেসগুলো ত্যাগ করুন।নিয়মিত কসরত আপনাকে এর মধ্যে অনেক সমস্যার হাত থেকে বাঁচাতে পারে।এবার চলুন দেখে নিই কী কী দৈহিক পরিবর্তন আসে ৩০-এর পর…
রস্টেট ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়ে
কিছু পুরুষের মধ্যে প্রস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে।এগুলো হল:প্রস্রাব করার সময় ব্যথা,ইরেক্টিল ডিসফাংশান,রাতে বারবার প্রস্রাব করা ইত্যাদি।কিছু লক্ষণ দেখেই কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাবেন না।একই সময় লক্ষণগুলো অবহেলা করাও ভাল না।ডাক্তারকে দেখান ও সন্দেহগুলো মুক্ত হন।সমস্যা শুরুতেই ধরা পড়লে এর চিকিৎসাও হয় অনায়াসে।
মাংসপেশীর সংকোচন হয়
মাংসপেশীর সংকোচন হয় ৩০-এর পর ছেলেদের মাংসপেশী তাদের নমনীয়তা হারায় এবং সংকোচিত হতেও শুরু করে।যাতে শরীর সবল থাকে,এমন এক্সারসাইজ করুন যাতে শরীরের এদিক ওদিক ঘোরানোতে সাহায্য করে। যোগব্যায়াম একটা ভাল সমাধান এই পরিস্থিতি থেকে কিছুটা রেহাই পেতে।
হাড়ের ঘনত্ব কমে
হাড়ের ঘনত্ব কমে কিছু পুরুষের হাড়ের ঘনত্ব ও ওজন কমতে শুরু করে ৩০-এর পর থেকে।এর ফলে এরা হাড় ভাঙার জন্য বেশি প্রবণ হয়ে পড়েন।হাড়ের স্ক্যান করে পরীক্ষা করান।ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার ও ভিটামিন ডি নিন, এবং ওজন তোলার কসরত করুন পেশী গড়ার জন্য।.
পেটে মেদ বৃদ্ধি
পেটে মেদ বৃদ্ধি বাড়ন্ত কোমরের মাপ ৩০-এর একটা অবশ্যাম্ভাবী দৈহিক পরিবর্তন।আপনার শরীর আগের থেকে কম ক্যালোরি হজম করতে পারে যত বয়স বাড়ে।এর ফলে আপনার মেদ জমে।আপনার কাজে সক্রিয়তার পরিমাণ দেখুন ও বুঝে খাওয়ার পরিমাণ কমান।
মধ্যজীবনের সঙ্কট
মধ্যজীবনের সঙ্কট মধ্যজীবনের সঙ্কট বা নৈরাশ্যও ৩০-এর পর পুরুষের জীবনের পরিবর্তনের মধ্যে পড়ে।ডাক্তার দেখান।আপনার মানসিক শান্তি নষ্ট হওয়ার আগে নৈরাশ্যর চিকিৎসা করান।
হার্টের বয়স হতে শুরু করে
হার্টের বয়স হতে শুরু করে ৩০-এর পর হার্টের কি হয়?হ্যাঁ,একটু ক্লান্ত হয়ে পরে আপনার হার্ট,যার ফলে দেহে কম রক্ত পাঠায়।আর যদি তার মধ্যে যদি কোলেস্টারল জমে তাহলে ব্লাড প্রেসার বাড়ে।হার্টের পক্ষে ভাল খাবার খান ও অল্প সময়ের জন্য কঠিন কসরত করুন।এতে উপকার পেতে পারেন।
টি-লেভেল কমতে পারে
টি-লেভেল কমতে পারে টেস্টেস্টরনের কী হয়?হ্যাঁ,৩০-এর পর আপনার টি-লেভেল কমতে থাকে।একটা পরীক্ষা আপনার টেস্টেস্টরনের মাত্রা জানতে সাহায্য করতে পারে।আপনার যৌনক্ষমতা যদি কমে ও আপনি নৈরাশ্যে ভোগেন, ডাক্তার দেখান।ঠিকঠাক পরীক্ষা করান এবং দেখুন কি করে আপনার টি-লেভেলের উন্নতি করানো যায়।
শুক্রাশয় বা টেস্টিকলের ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে
শুক্রাশয় বা টেস্টিকলের ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে আরও এক বিপদ হল টেস্টিকলের ক্যান্সারের। যদি টেস্টিকেলে ব্যাথা হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারি পরীক্ষা করান কারণ এই ধরণের ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্ভব যদি তাড়াতাড়ি ধরা পরে।