বুকে অসহ্য ব্যাথা, দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই!
বুকে ব্যথা হলেই হৃদরোগের ব্যথা ভেবে আঁতকে ওঠার কিছু নেই। হৃদরোগ জনিত ব্যথার কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর বাইরেও নানান কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে।
সাধারণত বুকের মাঝের অংশে প্রচণ্ড ব্যথা, বুক ভারী লাগা, বুকে তীব্র চাপ বা মোচড় দিয়ে ধরার মতো অনুভূতি, ৩০ মিনিটের অধিক সময় ধরে ব্যথা থাকা, বিশ্রাম নিলেও ব্যথা না কমা, ব্যথার সঙ্গে ঘাম বা বমি বমি ভাব হৃদরোগ জনিত ব্যথার লক্ষণ। হাঁটাচলা, পরিশ্রম ও ভারী খাবারের পরে এ ব্যথা বাড়তে পারে। ঘাড়, হাত বা চোয়ালের দিকেও ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বুকে ব্যথার অন্যান্য কারণ—
ফুসফুস ও বক্ষপিঞ্জরের বিভিন্ন সমস্যায় বুকে ব্যথা হতে পারে। নিউমোনিয়া, ফুসফুসের পর্দার প্রদাহ, হাঁপানি, ফুসফুসে রক্তসঞ্চালন কমে যাওয়া, ফুসফুসের পর্দায় বাতাস জমা, বক্ষপিঞ্জরের তরুণাস্থি বা পেশির প্রদাহের কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে। ফুসফুসের ক্যানসার ছড়িয়ে গিয়ে ফুসফুসের পর্দা ও বক্ষপিঞ্জর আক্রান্ত হলেও বুকের একপাশে ব্যথা হতে পারে।
যকৃতে সংক্রমণ বা পুঁজ, পিত্তথলির প্রদাহ এবং তীব্র রক্তশূন্যতা হলে বুকে ব্যথা হতে পারে। পেটের প্রদাহ ও কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণেও বুকে চিন চিন ব্যথা হতে পারে। মনে রাখতে হবে, বুকের বাম দিকে ইনফ্রাম্যামারি লাইনের নিচে ব্যথা হওয়াটা মনস্তাত্ত্বিক সমস্যার লক্ষণ।
কী করবেন?
বুকে ব্যথা হলেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবেন না। সমস্যাগুলো গুছিয়ে চিন্তা করুন। হৃদরোগের ব্যথার যেকোনো বৈশিষ্ট্য দেখা দিলে, হাঁটাচলা করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠলে কিংবা ব্যথার পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট হলে বা জ্বর ও কাশি থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।