৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, রবিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

হেপাটাইটিস রোগ থেকে বাঁচুন

হেপাটাইটিস এ এর সংক্রমণ প্রধানত যকৃতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই ভাইরাস যকৃতের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। হেপাটাইটিস এ পায়ুমুখের সাহায্যে মানব দেহে ছড়িয়ে থাকে। সংক্রামিত খাদ্য বা পানির মাধ্যমে এই রোগ এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে।

এই ভাইরাসটি মলের মাধ্যমে ছড়ায়। মলত্যাগের পর ব্যবহৃত হাত ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে মুখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। তাছাড়া দূষিত পানি এবং খাদ্যের মাধ্যমেও ছড়িয়ে থাকে। সময়ে সময়ে এই ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়াতে পারে। এই ভাইরাস সাধারণত শিশু ও কিশোরদের আক্রান্ত করে না। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় সব রোগীই সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। হেপাটাইটিস এ এর মাধ্যমে আক্রান্ত হলে একমাসের ভেতর কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না। যখন

ohabitlogo

বোঝা যায় তখন, যকৃৎ অনেকটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে বাহ্যিক কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন-

– অবসাদ অনুভব করা।

– বমি বমি ভাব হওয়া এবং বমি করা।

– পেট ব্যথা করা।

– ক্ষুদা মন্দা।

– সামান্য জ্বর।

– গাঢ় রঙের প্রস্রাব।

– মাংসপেশীতে ব্যথা।

– শরীরে চুলকানি হওয়া।

– চোখ এবং শরীরের চামড়া হলুদ হয়ে যাওয়া।

হেপাটাইটিস এ এর উপসর্গ দেখা দেয়া মাত্রই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে নিকটস্থ জেলা সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। হেপাটাইটিস প্রতিরোধে নিতে পারেন কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা-

– খাবারের প্রতি অরুচি থাকলেও নিজেকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করতে হবে। সারাদিন অল্প করে হালকা ও সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া উচিৎ।

– নিরাপদ বা বিশুদ্ধ পানীয় পানের অভ্যাস করতে হবে।

– দূষিত খাদ্য যেমন-রাস্তার পাশের বা হোটেল-রেস্তোরাঁর খোলা খাবার একদমই খাওয়া যাবে না। নিজের বাসা-বাড়িতে তৈরি খাদ্যদ্রব্য যথাসম্ভব ঢেকে রাখতে হবে।

– খাবার আগে ও মলত্যাগ করার পর হাত ভালো করে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

– অন্যের ব্যবহৃত ব্লেড, কাঁচি, ক্ষুর ইত্যাদি ব্যবহার না করা।

– যথাসম্ভব স্যালুনে সেভ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

– ইনজেকশনের জন্য নতুন ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করা ভালো।

– অন্যের শরীর থেকে রক্ত গ্রহণের পূর্বে সেই রক্ত ভাইরাসমুক্ত কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

– হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকুন।

– কখনো হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

– সময়মতো হেপাটাইটিস এর টিকা গ্রহণ করা।

হেপাটাইটিস থেকে বাঁচতে অসুখ ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত যোগাযোগও রাখতে হবে।

Comments

comments