এই মহিলার বয়স ৫২ বছর দেখে বিশ্বাস হয় ,যৌবনের রহস্যটা কী ?
৫২ বছর বয়স তাঁর। কিন্তু তাঁকে দেখে অনেকেই বছর ২৫-এর তরুণী বলে ভুল করেন। তারপর তাঁর প্রকৃত বয়সটি জানার পরে তাঁদের বিস্ময়ের সীমা থাকে না। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পামেলার প্রতি ধেয়ে আসে তাঁদের অবধারিত প্রশ্ন— পামেলার এই অনন্ত যৌবনের রহস্যটা কী
তাঁর নিজের বয়স ৫২ বছর। তাঁর ছেলের বয়স ২১। তবু একবার যখন প্লেনের টিকিট কাটতে গিয়েছেন তিনি, তখন এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ তাঁকে মনে করেছিল কলেজ পড়ুয়া। সেই ভেবে তাঁকে স্টুডেন্টস ডিসকাউন্টও অফার করা হয়েছিল। মহিলা বিনীতভাবে জানান, কলেজের গণ্ডি তিনি পেরিয়ে এসেছেন, সে প্রায় তিন দশক হল।
তাঁর নাম পামেলা জ্যাকবস। জন্মগতভাবে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ হলেও
বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডের নাগরিক। ৫২ বছর বয়স তাঁর। কিন্তু তাঁকে দেখে অনেকেই বছর ২৫-এর তরুণী বলে ভুল করেন। তারপর তাঁর প্রকৃত বয়সটি জানার পরে তাঁদের বিস্ময়ের সীমা থাকে না। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পামেলার প্রতি ধেয়ে আসে তাঁদের অবধারিত প্রশ্ন— পামেলার এই অনন্ত যৌবনের রহস্যটা কী?
এই একই প্রশ্ন পামেলার সামনে রেখেছিলেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও। পামেলার অবশ্য এই বিষয়ে রাখঢাক নেই কোনও। তিনি বলছেন, তাঁর এই তরুণীসুলভ স্বাস্থ্য ও মুখশ্রী অনেকটাই উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। তাঁর অন্যান্য ভাই-বোনেরাও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বুড়িয়ে জাননি। তবে নিজেকে ঠিকঠাক রাখতে নিজস্ব কিছু কৌশলও প্রয়োগ করে থাকেন পামেলা। কী সেই কৌশল?
পামেলা বলছেন, তাঁর চেহারার তারুণ্যের অনেকটাই নারকোল তেলের সৌজন্যে। তিনি দিনে দু’বার করে শরীরে নারকোল তেল মালিশ করেন। অন্য কোনও ময়েশ্চারাইজারের পরিবর্তে নারকোল তেল প্রয়োগ করাই পছন্দ পামেলার। এছাড়া মেক আপ রিমুভার হিসেবেও তিনি নারকোল তেলের উপরেই ভরসা করে থাকেন। মজার বিষয়, তিনি নাকি কখনও সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করেন না। তবে সপ্তাহে একবার সাওনা ও স্টিম বাথ নেন পামেলা। এছাড়াও বিশেষ ধরনের খাদ্যাভ্যাসও অনুসরণ করেন তিনি। তাঁর খাদ্যতালিকায় ৮০ শতাংশ খাবারই ভেষজ। তবে বাকি ২০ শতাংশে চকলেট, আইসক্রিম বা অ্যালকোহলের মতো খাবার রাখতে পামেলার আপত্তি নেই।
ডাক্তাররা বলছেন, পামেলার তরুণীসুলভ চেহারার মূল রহস্য ওই নারকোল তেলের মধ্যেই নিহিত। নারকোল তেলে ফ্যাটি অ্যাসিড, ফ্যাটি ট্রাইগ্লিসারাইড-এর পাশাপাশি এমন কিছু প্রাকৃতিক গুণাবলি রয়েছে, যা সত্যিই ত্বকের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। পামেলা নারকোল তেলের সেই উপকারী গুণকেই পূর্ণমাত্রায় কাজে লাগাচ্ছেন। তাছাড়া তাঁর জিন-এই রয়েছে তারুণ্য। বার্ধক্য তাই তাঁকে সমঝে চলে।