যে কারণে কমে যায় পুরুষের শুক্রাণু
পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে- শুক্রাণুর সংখ্যা ও মান কমে যাওয়া। গবেষণায় দেখা গেছে, খুব সাধারণ কিছু অভ্যাস থেকে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যেতে পারে। শুক্রাণু সংখ্যা কমে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ আমাদের চারপাশে রয়েছে। দৈনন্দিন অভ্যাস এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার শরীরে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে প্রজননক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে।
পুরুষদের কিছু অভ্যাস তাদের যৌনস্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে যা গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রাণুর গুণমান না থাকায় অনেক দম্পতিরা সমস্যার সম্মুখীন হয়।
খুব সাধারণ কিছু অস্বাস্থ্যকর দৈনন্দিন অভ্যাস এখানে তুলে ধরা হলো।
১. কোমল পানীয় পানের অভ্যাস
কার্বনেটেড ড্রিঙ্ক বা কোমল পানীয় এবং খুব ঠাণ্ডা পানীয় পছন্দ করেন, তাহলে শুক্রাণুর গতিশীলতা প্রভাবিত হতে পারে। দিনে এক বোতল কার্বনেটেড পানীয় পান করলেও শুক্রাণুর গতিশীলতা কমিয়ে দিতে পারে। তেমনি অত্যধিক বিয়ার পান করলে শুক্রাণু দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। কারণ, কার্বনেটেড পানীয়তে অতিরিক্ত চিনি থাকে, যা শরীরে ইনসুলিন তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে এবং শুক্রাণু গতিশীলতা কমিয়ে দেয়।
২. পকেটে ফোন রাখা
ফোনটি হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে হয়তো প্যান্টের সামনের পকেটে রাখা নিরাপদ মনে করছেন। কিন্তু এটিও শুক্রাণুর জন্য সম্ভাব্য ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে স্মার্ট ফোন থেকে যে বিকিরণ বের হয় তা পুরুষদের প্রজনন নষ্ট করতে শতকরা ৯ ভাগ ভূমিকা রাখে।
৩. কোলের ওপর ল্যাপটপ রাখা
ল্যাপটপ কোলে রেখে ব্যবহার করতে হয়তো বেশি সুবিধাজনক লাগে। কিন্তু এই অভ্যাসের কারণে যে বাবা হয়ে একটি শিশু কোলে নেয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। হ্যাঁ, ল্যাপটপের মৌলিক কিছু উপাদান শুক্রাণুও হত্যা করতে পারে। যন্ত্রটি ঠাণ্ডা থাকা প্রয়োজন, যা অবশ্যই শরীরের বাইরে রেখে। কারণ, যখন ল্যাপটপটি কোলের ওপর রাখা হয়, এর গরম শরীরের সংস্পর্শে আসে। ফলস্বরূপ, শুক্রাণু মরে যেতে পারে।
৪. তীব্র গরম পানি ব্যবহার
সারা দিনের কাজ শেষে একটি দীর্ঘ উষ্ণ গোছল অবশ্যই কাম্য। তবে বাষ্পীয় গরম গোছল যেন তীব্র তাপমাত্রায় না হয় তাহলে শুক্রাণু ক্ষতি হতে পারে।
৫. কম ঘুমানো
কম ঘুমালে শরীরে সব ধরনেরই সমস্যা হতে পারে। মন ও শরীরের সঠিকমাত্রায় বিশ্রাম হলেই শুক্রাণু হবে স্বাস্থ্যবান। কার্যকরী ও সক্রিয় শুক্রাণুর জন্য পরিপূর্ণ ঘুমের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে একজন পুরুষের ন্যূনতম সাত-আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
৬. স্লিমফিট জিনস
স্লিমফিট জিনস হয়তো পুরুষদের আকর্ষণীয় লাগে দেখতে কিন্তু জিনসও শুক্রাণুর সংখ্যার পরিমাণ হ্রাস করতে পারে। বেশি চাপা জিনস বা প্যান্ট শরীরের সাথে লেগে থাকে, ফলে যে তাপ সৃষ্টি হয় তা শুক্রাণুর জন্য ভালো না।
দেখুন কী সহজেই শুক্রাণুর ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। শুধু এই অভ্যাস নয়, শুক্রাণুকে মেরে ফেলতে পারে এমন অন্যান্য খারাপ অভ্যাস যেমন ধূমপান, মানসিক চাপ, মদ্যপান, যৌন খেলনা ব্যবহার, এমনকি বেশি সানস্ক্রীন ব্যবহার। আর তাই সুন্দর স্বাস্থ্যকর জীবন পদ্ধতি বেছে নিন।
সূত্র : এনডিটিভি