৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে ইফতারে খান ‌‘পিচ’

থেকে থেকে বৃষ্টি হলেও গরম কিন্তু খুব একটা কমেনি। দিনের দৈর্ঘ্যও এখন প্রায় সর্বোচ্চ। তাই দীর্ঘ সংযমের পর ইফতারে চাই পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর খাবার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইফতারে ভাজা-পোড়া বাদ দিয়ে ফলমূলে মনোযোগী হওয়া উচিত।অঞ্চল ভেদে আশফল, কাঠলিচু ও পেঁয়াজ ফল হিসেবেও পরিচিত।

১.পুষ্টি উপাদান: পিচ মানেই নানা পুষ্টি উপাদানে ভরপুর এক ফল। ভিটামিন ‘এ’, বেটা-ক্যারোটিন আর ভিটামিন ‘সি’র (অ্যাসকর্বিক এসিড) শক্তিশালী উৎস এটি। আরো আছে ভিটামিন ‘ই’ (আলফা-টকোফেরল), ভিটামিন ‘কে’ (ফাইলোকুইনান), থিয়ামিন, রিবোফ্ল্যাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি-৬, ফোলেট আর প্যান্টোথেনিক এসিড। এসবের সঙ্গে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ফরফরাস, জিংক আর কপারের মতো খনিজও মিলবে। তাই ইফতারে চোখ বন্ধ করে এই ফল রাখতে পারেন।

২.অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: পিচের ত্বক বা ভেতরের মাংসল অংশে রয়েছে পর্যাপ্ত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এদের রক্ষায় আবার ক্লোরোজেনিক এসিডও আছে এই ফলে। অক্সিজেন গ্রহণের সঙ্গে দেহে আসা বিষাক্ত উপাদানগুলো সামলে নিতে রয়েছে লুটেইন, জিয়াজানথিন আর বেটা-ক্রাইটোজানথিনের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।

৩.হাইপোক্যালেমিয়া: দেহের স্নায়বিক আর কোষের কার্যক্রম ঠিকঠাকমতো চলতে দরকার পটাসিয়াম। পিচে এই উপাদানের কমতি নেই। কাজেই সুষ্ঠু বিপাকক্রিয়া, কার্বোহাইড্রেটের যথাযথ ব্যবহার, ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা এবং পেশির টিস্যুর দেখভালে পিচ ভূমিকা রাখে।

৪.ক্যান্সার: এই ফলের ফেনোলিক আর ক্যারোটেনয়েড উপাদান রয়েছে। এগুলো টিউমার ও ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। স্তন, ফুসফুস, কোলন ক্যান্সারসহ আরো কয়েক ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে পিচ।

৫.ত্বক: ভিটামিন ‘সি’ থাকায় ত্বক উজ্জ্বল করে এই ফল। দেহের বিষাক্ত উপদানগুলো বের করে দিতেও খুবই কাজের এই ভিটামিন। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করে পিচের জিয়াজানথিন আর লুটেইন।

৬.গর্ভাবস্থা: হবু মায়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পিচ খুবই উপকারী। শিশুর হাড়, দাঁত, ত্বক, পেশি আর রক্তবাহী শিরা-উপশিরার স্বাস্থ্যকর গঠনে ভূমিকা রাখে ভিটামিন ‘সি’। দেহকে আয়রন শুষে নিতে সহায়তা করে পিচ। আর তা গর্ভাবস্থায় খুবই জরুরি। এর পটাসিয়াম পেশির অনাকাঙ্ক্ষিত সংকোচন প্রতিরোধ করে।

৭.স্নায়ুতন্ত্র: পিচের ম্যাগনেসিয়াম আপনার মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা প্রশমিত করতে পারে। এই খনিজ দেহের স্নায়বিক ব্যবস্থাকে স্থিত রাখে। ম্যাগনেসিয়ামের অভাব কেন্দ্রীয় স্নায়বিক ব্যবস্থাকে এলোমেলো করে দেয়। পেশি ও স্নায়ুতে অস্থির অবস্থা বিরাজ করে।

Comments

comments