এয়ারফোন ব্যবহারে আপনার দেহে যে ৫ টি মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে!
প্রযুক্তি প্রতিনিয়তই উন্নত হচ্ছে। উন্নতির সাথে সাথে আমাদের জীবনকে আরামদায়ক ও জাঁকজমকপূর্ণ করছে। তবে প্রযুক্তি আমাদের ক্ষতিও কম করছে না। এয়ারফোন হচ্ছে এমন একটি প্রযুক্তি যার বেশকিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে।
১। শ্রবণ জটিলতা ও শ্রবণশক্তি হ্রাস: এয়ারফোন ব্যবহার করে ৯০ ডেসিবলের উপর শব্দ সৃষ্টি করলে শ্রবণ সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হয়। এমনকি আপনি শ্রবণশক্তিও হারাতে পারেন! ১০০ ডেসিবলের উপর মাত্র ১৫ মিনিট এয়ারফোন ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে।
২। কানে ইনফেকশন বা প্রদাহ: একটি এয়ারফোন, হেডফোন ইত্যাদি একজনেরই ব্যবহার করা উচিৎ। কিন্তু আমরা একটি এয়ারফোন একাধিক ব্যক্তি, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করে থাকি। এতে কানে ইনফেকশনের সম্ভাবণা থাকে। কারণ এয়ারফোনের মাধ্যমে একজনের কানের জীবাণু অন্যজনে বাহিত হয়। সুতরাং এখন থেকে এয়ারফোন শেয়ার করবেন না। করলে অবশ্যই ব্যবহারের পূর্বে জীবাণুনাশক ব্যবহার করে নিবেন।
৩। কানে বায়ু চলাচল বন্ধ: বর্তমানে কিছু এয়ারফোনে চমৎকার শব্দ পাওয়া গেলেও তার স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। এসব এয়ারফোন এয়ারক্যানেল পর্যন্ত প্রবেশ করানো হয়। এতে কানের ভিতর বায়ু প্রবেশ করতে পারে না। যার ফলে ইনফেকশনের সম্ভাবনা আরো বেশি হয়।
৪। শ্রবণশক্তির জড়তা: কিছু সমীক্ষায় জানা যায়, যারা এয়ারফোন ব্যবহার করেন তারা উচ্চ শব্দে মিউজিক শোনেন। এতে কানে জড়তা চলে আসে। এই জড়তা স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সময় উচ্চস্বরে মিউজিক বাজালে শ্রবণশক্তিও হারাতে পারেন।
৫। মস্তিষ্কের ক্ষতি: বর্তমানে এয়ারফোন কিছু তড়িত-চুম্বকীয় তরঙ্গ তৈরি করে। যেগুলো মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। ব্লুটুথ এয়ারফোনও মস্তিষ্কের ক্ষতি করে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
এয়ারফোন ব্যবহারের অল্প ভলিউম দিবেন। এতে ক্ষতির পরিমাণ কম হয়। আরেকটি কথা, অতি স্টাইল দেখাতে রাস্তায় চলাচলের সময় এয়ারফোন কানে দিয়ে রাখবেন না। এতে যেকোন সময়েই মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আমাদের ট্রাফিকদের এ বিষয়টাও দেখা উচিৎ।