ঘরে কর্পূর রাখলে কী কী ম্যাজিক, জেনে নিন এর ১৩টি গুণ
শুধুই পুজো নয়, ঘরের মধ্যে কর্পুর রাখার উপকারিতা অনেক। জেনে নিন কিছু টোটকা।
হিন্দু ধর্ম মতে যদি পুজোয় কর্পূর ব্যবহার না করা হয়, তাহলে পুজোই সম্পন্ন হয় না বলে মনে করা হয়। ঘর ও শরীরের নেতিবাচক শক্তি দূর করার জন্য কর্পূর অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ওষুধ বলেই বলে মনে করা হয়।
জেনে নিন কী কী উপায়ে কর্পূরকে কাজে লাগাতে পারেন আপনি। এবং তাতে কী উপকার হয়ে থাকে বলে ধারণা—
১। বাস্তুশাস্ত্র মতে, অনেক চেষ্টাতেও হয়ত কাজ হচ্ছে না। ভাল সময় আসছে না। টাকা পয়সা জমছে না। এই অবস্থায় রূপোর বাক্সে নিয়মিত কর্পূর ও লবঙ্গ জ্বালান। এর ফলে নানা বাধা দূর হতে পারে। যে কাজ আটকে রয়েছে তাও ভালভাবে হয়ে যেতে পারে।
২। ঘরে, ব্যবসায় বা কাজের জায়গায় কোনও বাস্তুদোষ থাকলে তাতে ক্ষতির মুখও দেখতে হয় অনেককে। সেই নেতিবাচক শক্তি দূর করতে কর্পূরের গুলি রাখতে পারেন একটি বাটি করে।
এর ফলে যে শুধু নেতিবাচক শক্তিই চলে যাবে তা নয়, ধনলাভের সুযোগও বাড়তে পারে।
৩। কর্পূর পরিবেশও শুদ্ধ করে। বাড়িতে পুজো পাঠ চলার সময় কর্পূর অবশ্যই জ্বালান। এর গন্ধেই পরিবেশ পাল্টে যেতে পারে। কারণ কর্পূরের গন্ধে বাতাসে মজুদ ব্যাক্টেরিয়া মরে যায়।
৪। শীতের দিনে কাপড়ের ভাঁজে বা আলমারির মধ্যে কর্পূর রেখে দিলে পোকামাকড় হয় না। জামাকাপড় ঠিক থাকে।
৫। কর্পূরের গন্ধে মন ও মস্তিষ্ক দুটিই সতেজ থাকে।
৬। গাঁটের ব্যথাতেও কর্পূর লাভদায়ক।
৭। যদি অনিদ্রার সমস্যা থাকে, তাহলে কর্পূর তেলের গন্ধ মাথায় মাখুন। এতে মাথা ঠান্ডা থাকে ও ঘুম আসতে সাহায্য করে। কর্পূরের তেল কয়েক ফোঁটা বালিশে ফেলে ঘুমোতে যেতে পারেন।
৮। সর্দিতে নাক বন্ধ থাকলে, শ্বাসকষ্ট হলে, হাঁচি হলে কর্পূরের সাহায্যে এগুলির সমাধান করা যেতে পারে। গরম জলে কর্পূর ঢেলে তার ভাপ নিলে আরাম পাবেন।
৯। কালো ও মজবুত চুলের জন্যও কর্পূর খুব উপকারি। মাথার তেলে কর্পূর মিশিয়ে মাখলে রক্তপ্রবাহ বাড়ে ও চুল মজবুত হয়।
১০। দাদ, হাজা বা চুলকানি থেকে রেহাই পেতেও কর্পূর ওষুধের কাজ করতে পারে। কর্পূরের গুলি ত্বকে লাগালে কমতে পারে চুলকানি বা বিভিন্ন চর্ম রোগ।
১১। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যদি খরচ বেশি হয় অথচ আয় যথেষ্ট না হয়, তাহলে গোলাপ ফুলে কর্পূরের টুকরো রাখতে পারেন ও কর্পূর জ্বালিয়ে মা দুর্গার কাছে অর্পণ করতে পারেন। লাভ মিলতে পারে কম-আয়-বেশি-খরচের সমস্যা থেকে।
১২। যদি বাজে খরচ বেড়ে যায়, তাহলে সূর্যাস্তের সময় কর্পূরের প্রদীপ জ্বালান ও সেটি ঘরে ঘোরান। সমস্যার সমাধান মিলতে পারে। রাহু-কেতুর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোজ ঘরে কর্পূর জ্বালাতে পারেন।
১৩। ভাগ্য ফেরাতে স্নানের সময় কর্পূরের তেল কয়েক ফোঁটা জলে ফেলে স্নান করা যেতে পারে। এর ফলে শরীর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।