সুস্থ থাকার মহাষৌধ কি জেনে নিন সুস্থ থাকুন
আমরা বিভিন্ন রান্নায় ভিনিগার ব্যবহার করে থাকি। ভিনিগার বা সিরকা হল এক ধরনের তরল পদার্থ। মাংস রান্না, আচার কিংবা স্যালাড সহ অন্যান্য অনেক কিছুতেই ভিনিগার প্রায়শই ব্যবহার করা হয়। রান্না ছাড়াও বিভিন্ন গৃহস্থালি কাজে কিংবা কোনও কিছু পরিষ্কার করতেও ভিনিগার ব্যবহার করা হয়।
তবে এই ভিনিগারের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে । আমাদের দেশে সাধারণত সাদা ভিনিগার বেশি ব্যবহার করা হয়। ১ টেবিল চামচ সাদা ভিনিগারে ০.৯ গ্রাম শর্করা, ০.৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.১ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে।
১. নিয়মিত ভিনিগার খাওয়ার অভ্যাস করলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া কিছুটা সহজ হয়। যারা ওজন সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা স্যালাডের সঙ্গে মেয়োনিজের বদলে ভিনিগার দিয়ে খেতে পারেন। তাহলে মেয়োনিজের অতিরিক্ত ক্যালোরি ও ফ্যাট ছাড়াই আপনি স্যালাডকে সুস্বাদু করতে পারবেন।
২. ভিনিগার খেলে শরীরের রক্ত প্রবাহ সচল থাকে এবং রক্তে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়ে। এ ছাড়াও ভিনিগার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্লান্তি দূর করে শরীরকে সচল রাখে। ফলে নিয়মিত ভিনিগার খেলে শরীর চনমনে থাকবে এবং ক্লান্তি ভাব কমে যাবে।
৩. গবেষণায় প্রমাণিত যে, শর্করা জাতীয় খাবারের সঙ্গে ভিনিগার খেলে রক্তে শর্করার প্রবেশ কিছুটা ধীরগতিতে হয়। ভিনিগার পরিপাকের কিছু এনজাইমকে রোধ করে যেসব এনজাইমের কাজ হল শ্বেতসারকে শর্করার ক্ষুদ্র কণায় রূপান্তরিত করা। ২ টেবিল চামচ ভিনিগার আধ কাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে খেলে সকালে রক্তে শর্করা পরিমাণ প্রায় ৪-৬ শতাংশ কমে যায়। তাই যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন, তারা নিয়মিত ভিনিগার খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
৪. অনেকেরই হজমে সমস্যা আছে। কিছু খেলেই যাদের হজমের সমস্যা হয়, তাদের জন্য ভিনিগার বেশ উপকারী। ভিনিগার হজমে সাহায্য করে। নিয়মিত স্যালাডের সঙ্গে ভিনিগার খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও ভিনিগার খাবার থেকে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান শোষণ করতে সহায়তা করে।
অনিদ্রার রোগীদের জন্যেও ভিনিগার বেশ উপকারি। প্রতিদিন রাতে ঘুমের আগে গরম জলের সঙ্গে ভিনিগার মিশিয়ে সেই জলে স্নান করলে শরীরের স্নায়ুর উত্তেজনা কমে, মন শিথিল হয়। ফলে সহজেই ঘুম চলে আসে এবং গভীর ঘুম হয়।