প্রথম পিরিয়ড নিয়ে খুব খুশি ছিলাম : সোনম কাপুর
অনেকের জন্যই অহেতুক আতঙ্কের কারণ হলেও বলিউড স্টার সোনম কাপুরের প্রথম ঋতুস্রাব ছিল আনন্দদায়ক অভিজ্ঞাতা।
১৫ বছর বয়সে প্রথম পিরিয়ড হয় সোনম কাপুরের। সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে তিনি জানিয়েছেন- এটা তার জন্য বেশ আনন্দের ছিল। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা প্যাডম্যান চলচ্চিত্রের প্রচারণার কাজে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত সোনম জানান এ কথা।
অক্ষয় কুমারের সঙ্গে বহুল আলোচিত প্যাডম্যান ছবিতে অভিনয় করেছেন একসময়কার জনপ্রিয় নায়ক অনিল কাপুরের মেয়ে সোনম।
প্যাডম্যানের প্রচারণায় অক্ষয় ও সোনম
নারীদের পিরিয়ডকালীন যত্ন বিষয়ে সচেতনতা জাগাতে নির্মিত প্যাডম্যান ছবিটি ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে নির্মাণ শুরুর সময় থেকেই।
প্যাডম্যানের প্রমোশনে সোনমকে তার প্রথম পিরিয়ডের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, আমার তখন ১৫ বছর বয়স যখন আমার প্রথম ঋতুস্রাব হয়। ওই সময়ের মধ্যে আমার সব বান্ধবীদের এটা হয়ে গিয়েছিল। এই বিষয়টি নিয়ে আমি খুব মনোকষ্টে ছিলাম, কেন আমার পিরিয়ড হচ্ছে না। তাই যখন আমার প্রথম মাসিক হলো তখন আমি খুব হালকা বোধ করছিলাম।
বলিউড অপ্সরী সোনম আরো বলেন, আমার তখন পর্যন্ত পিরিয়ড না হওয়ার কারণে বাবা-মাকে অনবরত বিষয়টি জানাতাম আর বলতাম আমার কোনো সমস্যা আছে বুঝি-বা। এ কারণে যখন আমার তা হলো- আমি খুব খুশি ছিলাম।
সোনম আরো বলেন, অনেকেই মনে করেন মাসিকের কালে শুয়ে থাকাটাই সবচেয়ে আরামদায়ক, কিন্তু আসলে তা নয়। এ সময় আপনি যতটা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করবেন ততটাই মঙ্গলজনক। নারীদের পিরিয়ড বিষয়ে টিপস দিতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, পিরিয়ডকালীন বেশি বেশি পানি পান করবেন। এতে আপনি সবচেয়ে বেশি স্বস্তি পাবেন।
প্রসঙ্গত, পিরিয়ডকালে ভারতে মাত্র ১২% নারী নিরাপদ স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করে থাকেন। এমন বাস্তবতার আলোকে সে দেশের সরকারি মহল সচেতনতা জাগাতে প্যাডম্যান নামের সিনেমাটি তৈরির উদ্যোগ নেয়।
আর ২০১৩ সালের এক জরিপ মতে, বাংলাদেশে শতকরা ১৪% নারী মাসিকের সময় স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করে থাকে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের নভেম্বরে ভারতে ‘হ্যাপি টু ব্লিড’ নামে এক ব্যতিক্রমী আন্দোলন দানা বাঁধে মন্দিরে ঋতুমতী নারীদের ঢোকা নিষিদ্ধের প্রতিবাদে। এক মন্দিরের পুরোহিতের ঘোষণা ছিল যে ঋতুমতী নারীরা মন্দিরে ঢুকে দেবতা ও মন্দিরকে অপবিত্র করে। তাই নারীদের তার মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন। সব নারী তো সব সময় ঋতুমতী থাকে না- এমন যুক্তির জবাবে তার সাফাই ছিল, ঋতুমতী অনেক নারীই মিথ্যা বলে মন্দিরে প্রবশে করে। তাই এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
এর প্রতিবাদে ভারতের বিভিন্ন স্থানে নারীরা আন্দোলন শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের প্রথম মাসিকের বর্ণনা দেওয়া শুরু করেন মেয়েরা। প্রোফাইল ছবি বদল করে এ-সংক্রান্ত ইমেজ দিয়ে নিজেদেরকে আন্দোলনে সংযুক্ত করেন অনেক নারী। প্রতিবেশী বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়ে। এ নিয়ে লেখালেখিও হয়।
সূত্র : জনসত্তা.কম, ডয়েচেভেলে.কম