এইডস রোগের এর লক্ষণগুলো কি
AIDS পূর্ণ রূপ: Acquired Immunodeficiency Syndrome হচ্ছে এইচ.আই.ভি. (HIV) নামক ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট একটি ব্যাধি, যা মানুষের শরীরের রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা হ্রাস করে দেয়। এতে করে একজন এইডস রোগী খুব সহজেই যে কোন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন, যা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু ঘটাতে পারে।
এইচ.আই.ভি. সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই সর্বদা এইডস হয়না। কিন্তু যেহেতু একবার সংক্রামক এইচ.আই.ভি. শরীরে ঢুকলে তাকে পুরোপুরি দূর করা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি, তাই এইচ.আই.ভি. সংক্রমণ হলে এইডস প্রায় অনিবার্য। তবে বিনা চিকিৎসায় এইডস পর্যায়ে পৌঁছতে যদি লাগে গড়ে দশ বছর তবে চিকিৎসার দ্বারা তাকে আরো কিছু বছর পিছিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু “হার্রট” (HAART) নামে এইডস এর যে কম্বিনেশন ওষুধ দ্বারা চিকিৎসা পদ্ধতি তা অত্যন্ত খরচ সাপেক্ষ।
এইচআইভি/এইডসের প্রাথমিক পর্যায়ের লক্ষণগুলো
১) দেহে লালচে দানা উঠা
২) প্রচণ্ড মাথা ব্যথা
৩) জ্বর
৪) গলা ভাঙ্গা
৫) লিম্ফগ্রন্থি ফুলে উঠা
এইচআইভি/এইডসের পরবর্তী পর্যায়ের লক্ষণগুলো
১) কোনো কারণ ছাড়া দ্রুত দেহের ওজন কমতে থাকা
২) জ্বরের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া
৩) কাশি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হওয়া
৪) হাড়ের জয়েন্টগুলো ফুলে উঠা
৫) ডায়রিয়ায় আক্তান্ত হওয়া
এইচআইভি/এইডসের শেষ পর্যায়ের লক্ষণগুলো
১) ৩ মাসের বেশি সময় ধরে হাড়ের জয়েন্টগুলো ফুলে থাকা
২) মুখ কিংবা জিহ্বা বাঁকা হয়ে যাওয়া। মাঝে মাঝে সাদা সাদা দাগ পরতে দেখা যায়।
৩) দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা শুরু হয়। সবকিছু অস্পষ্ট এবং বিকৃত দেখতে পাওয়া
৪) দীর্ঘদিন ধরে ডায়রিয়ার সমস্যা থেকে যাওয়া
৫) টানা ২-৩ সপ্তাহ বা এরচাইতে বেশি সময় ধরে অনেক বেশি জ্বর থাকা
৬) মাথা ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়া
৭) শুকনো কাশি এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া
৮) রাতের বেলা অনেক বেশি ঘাম হওয়া
৯) প্রচণ্ড দুর্বলতা বোধ করা