সর্দি সারাতে খান চিকেন স্যুপ
কার্তিকের শুরুতেই ভোরে কুয়াশা, হালকা শীত এবং রাতে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। আর এ সময়ে বিনা নোটিশে হানা দেয় সর্দি, কাশি, জ্বর। একটু অসচেতন হলেই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হন কমবেশি সবাই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠান্ডা লাগা একধরনের ইনফেকশন। যা বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের কারণে হয়। আর এর কারণেই হয় মাথা ব্যথা, বাঁধাহীনভাবে নাক দিয়ে পানি পড়া, খুশখুশে কাশি, হাঁচি, চোখ জ্বলা, গলা ব্যথা, গা ব্যথা।
তবে ঘরোয়া উপায়েই এমন টুকটাক রোগ বালাই সারানো যায়। আজকের লাইফস্টাইল আইটেমে তেমন কিছু পরামর্শ রইল পাঠকদের জন্য।
গরম গরম চিকেন স্যুপ সর্দি সারতে দারুণ কাজ করে। যদিও এটি কোনো ওষুধ নয়। তবু এ খাবারটি ভালোই কাজ করে। পছন্দমতো সবজির সঙ্গে চিকেন স্যুপ আপনার শরীরে নিউট্রোফিলের গতি কমিয়ে দেয়। এতে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা কমতে সাহায্য করে। ফলে সর্দি ভালো হয়। এছাড়া স্যুপ শরীরের পুষ্টির যোগানসহ পানি শূন্যতাও দূর করে।
আদার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কে না জানে। আদার বহুমুখী উপকারিতা বিজ্ঞানে প্রমাণিত। গলা ব্যথা বা কাশির জন্য কয়েক টুকরা আদা নিন। গরম পানিতে সেদ্ধ করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১ গ্রাম আদা ঠান্ডাজনিত সর্দি কাশি কমাতে পারে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় আদা।
এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD
মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান। মধু ও লেবু দিয়ে চা পান করলে গলা ব্যথা উপশম হয়। কাশির সারাতেও মধুর কোনো তুলনা নেই। তবে এক্ষেত্রে শিশুদের মধু না খাওয়ানোই ভালো।
বন্ধ নাক আর সর্দিতে অতিষ্ট? নিশ্বাস নিন গরম পানির ধোঁয়াতে। একটি বাটিতে ধোঁয়া ওঠা গরম পানি নিন। তাতে মাথা ঝুঁকিয়ে ধীরে ধীরে নিশ্বাস নিন। বন্ধ নাক, সর্দি ঝটপট সেরে যাবে। এছাড়া গরম পানিতে গোসলও করলেও আরাম পাবেন।
রসুনের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান ঠান্ডাজনিত রোগ বালাই সারাতে দারুণ কার্যকরি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও রসুন উপকারী। শ্বাস কষ্টের সমস্যায় রসুন খেলে আরাম পাওয়া যায়। এছাড়া দেহের ক্ষতিকারক টক্সিন বের করতেও সাহায্য করে এটি।
নানাভাবে রসুন খাওয়া যায়। গরম পানিতে কয়েক টুকরো রসুন সেদ্ধ করে তাতে মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়। এছাড়া ভাতের সঙ্গে কাঁচা রসুন খেতে পারেন।
কালোজিরার থাকে এক ধরনের ঝাঁজালো উপাদান। যা মেনথলের মতোই কাজ করে। সর্দির সময় কালোজিরার ভর্তা খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া সর্দির কারণে নাক আটকে গেলে এক টুকরো পরিস্কার কাপড়ে অল্পকিছু কালোজিরা পুটলি করে ঘ্রাণ নিন। শ্বাস নিতে আর কষ্ট হবে না।