ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবেন যেভাবে
ক্রিয়েটিনিন এক ধরনের বর্জ্য যেটি মাংসপেশীর কোষ ভেঙে তৈরি হয়। যখন ক্রিয়েটিনিন উৎপন্ন হয় তখন রক্তের সঙ্গে তা মিশে যায়। পরে রক্ত যখন কিডনির ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন কিডনি এই রক্ত ছেঁকে ক্রিয়েটিনিন প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। তাই রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নির্ণয় করলে বোঝা যায় কিডনি কতখানি কর্মক্ষম আছে। ক্রিয়েটিনের মাত্রা নির্দিষ্ট লেভেলের উপরে হলেই বোঝা যায় তার কিডনি সমস্যা হয়েছে। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার বেশ কিছু উপায় আছে।
যেমন-
১. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ক্রিয়েটিনযুক্ত খাবার বেশি খান অন্যদের তুলনায় তাদের ক্রিয়েটিনিন বাড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যদি আপনার খাদ্য তালিকায় বেশি পরিমানে দুগ্ধজাত খাবার, গরু,মহিষের মাংস বেশি থাকে তাহলে আপনার ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।এ কারণে প্রোটিণ জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার পরিবর্তে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় শাকসবজি রাখুন। এটি আপনার ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।
২. অ্যাপল সিডার ভিনেগার ক্রিয়েটিনিনের লেভেল নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এই ভিনেগারে থাকা অ্যাসিটিক এসিড কিডনিতে পাথর জমতে বাঁধা দেয়।ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার যোগ করে পান করুন। যেকোন বেলায় খাবার পরে এটা খেতে পারেন।
৩. চারুচিনি ক্রিয়েটিনিন লেভেল নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। কারণ এটা প্রাকৃতিক ভাবে প্রসাবের পরিমাণ বাড়ায়। যেকোন ধরনের পানীয়র সঙ্গে প্রতিদিন আধা চামচ দারুচিনির গুড়া বা এক টুকরো দারুচিনি প্রতিদিন চিবিয়ে খেলে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৪. ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান।ফাইবার শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বেশি ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খান অন্যদের তুলনায় তাদের ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫. শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা তখনই বেড়ে যায় যখন আপনার মাংসপেশী অবিরাম কাজ করতে থাকে। এ কারণে খুব বেশি পরিশ্রম করা ঠিক নয়।
সূত্র : হেলদি বিল্ডার্জড