মালটার নানান উপকারিতা!
সারা বছরই বাজারে মালটা পাওয়া যায়। এটি সাইট্রেস জাতীয় ফল। মালটা আমরা কেন খাব? এটি খেলে শরীরের কী কী উপকার হয়? সেসব বিষয় সম্পর্কে জেনে নিন-
মালটার পুষ্টিগুণ: মালটায় প্রচুর পরিমাণে ফ্লামনয়েট রয়েছে। শরীরের জন্য প্রয়োজনী নিউট্রিসাস ও ভিটামিন রয়েছে মুসাম্বিতে। শুধু তাই নয়, প্রচুর পরিমাণে মিনারেলসও রয়েছে এতে।
মালটার উপকারিতা: অনেকেই হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন। যা খান তা ঠিক মতো হজম হয় না। এই হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে মালটা খুবই উপকারি। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্লামনয়েট রয়েছে, যা হজমে সাহায্যকারী এসিড বেশি মাত্রায় বাইরে বের করতে সাহায্য করে। চিকিৎসকরাও হজম ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মালটা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
মালটা কোষ্ঠকাঠিণ্য থেকেও মুক্তি দিয়ে থাকে। এতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, উচ্চ রক্তচাপ দূর করতে ও হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখতেও সাহয্য করে। আর ভিটামিন সি শরীরের নানা রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে থাকে। ঋতু পরিবর্তনের সময় অনেকেরই জ্বর হয়ে থাকে। আর জ্বর হলে একটা বমি বমি ভাব হয়। এ বমি ভাব বা জ্বর কমানোর জন্য মালটা খুবই উপকারি।
জন্ডিস রোগ সারাতেও মালটা খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। জন্ডিস লিভারজনিত একটি রোগ। আর মালটা হলো খুবই সহজপাচ্য খাবার। খুব সহজেই এটা হজম করা যায়। এটি লিভারকে ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে থাকে। লিভারের কার্যক্ষমতাকে স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে মালটা। ভিটামিন সি এর অভাবে দাঁতের গোড়া বা মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে। অনেক সময় ঠোঁটের পাশে ঘা হয়, ঠোঁট ফেটে যায়, ঠোঁটে ফোঁড়া হয়ে থাকে, এসব রোগ ভিটামিন সি এর অভাবে হয়ে থাকে। আর ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করে থাকে মালটা।
গরমে অনেকেরই পানিশূণ্যতা দেখা দেয়। তখন বেশির ভাগ সময় কোল্ড ড্রিকংস খেয়ে থাকি। এই কোল্ড ড্রিকংস না খেয়ে মালটা খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলসের ঘাটতি পূরণ হবে। যা শরীরকে ডি-হাইড্রেডের হাত থেকেও রক্ষা করবে। মালটায় ভিটামিনের পাশাপাশি ফলিক এসিড রয়েছে। যা শরীরের মাংসপেশিকে অনেক বেশি মজবুত করে। ফলে হাড়ের ঘনত্ব ভালো থাকে। যা হাড়গুলোকে মজবুত করতে সাহায্য করে। এর ফলে আথ্রারাইটিসের মতো সমস্যা থাকে না। বিশেষ করে মহিলাদের প্রসাবজনিত নানা রকম সমস্যা থাকে। এ সমস্যাগুলো বেশির ভাগই হয়ে থাকে কিডনি বা ব্লাডারের দূর্বলতা থেকে। এ দূর্বলতা থেকে রক্ষা করতে পারে মালটা।
মালটায় প্রচুর পটাশিয়াম রয়েছে। যা কিডনি ও ব্লাডারকে শক্তশালী করে থাকে আর যে কোনো রকমের ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই কোল্ড ড্রিংকস বাদ দিয়ে মালটা খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তবে শরীরের নানা রকম সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাবেন। গর্ভবতী নারীদের জন্য মালটা খুবই ভালো। এতে থাকা ভিটামিন সি গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ককে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে থাকে।
ত্বকের ক্ষেত্রেও মালটা খুবই উপকারি। মালটার রস খেলে বা মুখে মাখলে ত্বকের মৃত কোষগুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। এতে ত্বক নরম হবে, ত্বকের রুক্ষতা দূর হবে। এছাড়াও স্কিন টোন হালকা করতে মালটা খুব ভালো কাজ করে। মালটার রস, দুধ ও শশার রস নিয়ে এরসঙ্গে পেস্ট করে নিবেন। এটি মুখে লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করে ধুঁয়ে নিতে হবে। শীতকালে ঠোঁট শুকিয়ে যায়। এজন্য মালটার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। তবে ঠোঁট নরম হবে, গোলাপি হবে আর ফেটে যাওয়ার সমস্যাও দূর হবে।