মুলা খাওয়ার উপকারিতা
মুলা একটি শীতকালীন সবজি। রঙভেদে এটি সাদা, লাল ও হালকা গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। অনেকেই মুলা দেখে নাক শিটকান! এর গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। আবার অনেকেই মুলা কাচা এবং রান্না দু’ভাবেই খেতে পছন্দ করেন। মুলাতে নানা রকম পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারি। মুলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন-
পুষ্টিগুণ: মুলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে খাদ্য আঁশ, খাদ্য শক্তি, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক ও ম্যাগনেসিয়াম।
উপকারিতা: মুলা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখাতে সাহায্য করে। কারণ এতে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড যা দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে এবং ওরাল, পাকস্থলী, কিডনি ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। মুলার বিদ্যামান থাকা ফাইট্রোস্টেরল হৃদপিন্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি জন্ডিসে আক্রান্ত হলে মুলা রক্তের বিলুরুবিন কমিয়ে একটা গ্রহণযোগ্য মাত্রায় নিয়ে আসতে সাহায্য করে।
মুলা মানুষের ক্ষুধা কমিয়ে আনে ও ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে। যাদের পাইলসের সমস্যা রয়েছে অর্থাৎ অশ্বরোগের প্রধান কারণ হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। প্রচুর আঁশ সমৃদ্ধ খাদ্য মুলা। এটি খাদ্য পরিপাক ক্রিয়া গতিশীল করে হজমে সাহায্য করে। যা অশ্বরোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। এছাড়াও রক্ত পরিষ্কারক হিসেবেও কাজ করে মুলা।
মুলা লিভার ও পাকস্থলীর সব বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে থাকে। এই সবজি কিডনি রোগসহ মূত্রনালীর অন্যান্য রোগের জন্য ভীষণ উপকারি। শুধু তাই নয়, স্বেত রোগের চিকিৎসায়ও মুলো অনেক উপকারি। অ্যান্টি কার্লসেলোজনিক উপাদান থাকায় মুলার বীজ, আদার রস ও ভিনেগারে শ্বেতরোগাক্রান্ত জায়গায় লাগালে বা মুলা চিবিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
মুলার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে কফ, মাথা ব্যথা ও এজমা জনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এমন কি পোকা মাকরের কামড় থেকে সৃষ্ট ক্ষত নিরাময়েও মুলার রস অনেক উপকারি। এছাড়াও জ্বর ও বিভিন্ন কারণে শরীর ফুলে যাওয়া কমাতে মুলা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যাদের থাইরয়েড গ্রন্থি বা বুক জ্বালা পোড়ার সমস্যা রয়েছে তাদের মুলো খাওয়ার ব্যাপারে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। মুলাতে থাকা পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া মুলাতে রয়েছে ভিটামিন সি ও ফলিক এসিড। যা কোলন, কিডনি, পেটের ও মুখের ক্যান্সার কমাতে অনেক ভালো কাজ করে।