জেনে নিন কিভাবে সহবাস করলে গার্লফ্রেন্ড প্রেগন্যান্ট হবেনা?
যৌন সম্পর্ক খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে। নিজের প্রেমিক বা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সেক্স আমাদের গভীরতম ইচ্ছা, প্রেম, আবেগ, আমোদ, ও আস্থার বহিঃপ্রকাশ। একজনকে ভালোবেসে তার সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হওয়া প্রেমেরই অভিব্যক্তি। আবার অনেক সময় সেক্সের মাধ্যমেই আমরা সংক্রামক রোগের সম্মুখীন হই।
আর এ সব রোগ খুব হেলাফেলার নয়। অনেক সময় যৌন সংক্রামক রোগের ফল খুবই ভয়াবহ হয়ে দাঁড়ায়। ভবিষ্যৎ রোগ যন্ত্রণার সম্ভাবনা এড়িয়ে কি ভাবে সেক্স>করে আনন্দ উপভোগ করা যায়? নিজের যৌনতা উপভোগ করতে হলে কি স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে পারব না? আমরা অনেকেই এই সহজ প্রশ্নদুটির উত্তর জানি।
আমরা জানি কণ্ডোম কমে। কিন্তু খুব উত্তেজনার মুহূর্তে এই সহজ তথ্যটা হয়তো অনেকেই ভুলে যাই আর নিজেদের দীর্ঘমেয়াদী মঙ্গলের কথা মনে না রেখে হঠকারিতা করে বসি।
প্রথমে যেটা দেখতে হবে সেটা হল আপনাদের বয়স। নিরাপদ সেক্স করার জন্য দুজনেরই প্রাপ্তবয়ঃষ্ক হওয়া প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত দেখতে হবে দুজনেরই সেক্স করার ইচ্ছে আছে তো! কেবল আপনার ইচ্ছে হলে চলবে না, আপনার গার্লফ্রেন্ডেরও ইচ্ছে থাকা চাই।
এরপর ভাবতে হবে সঙ্গমের পর আপনাদের দুজনের মনে অপরাধবোধ জাগবে নাতো? যদি এইসব ভেবে নিয়ে দেখেন সঙ্গম করা উচিৎ, তবে প্রেগন্যান্সির হাত থেকে বাঁচতে চাইলে অবশ্যই কনডম ব্যবহার করুন। পিলের ভরসায় থাকবেন না। অযাচিত গর্ভ ও যৌনরোগের হাত থেকে বাঁচতে সবথেকে নির্ভরযোগ্য হল কনডম।
সেক্স নিয়ে আলোচনা করতে একটু খারাপ লাগতে পারে। এ ব্যপারে কতগুলি প্রশ্ন মনে রাখা জরুরী, যেমন (ক) কখন এবং কেমন করে আমরা প্রেমিক বা যৌনসঙ্গীর সঙ্গে সংক্রামক রোগের কথা আলোচনা কোরব? (খ) আমরা কেমন করে মিলিত হব যাতে সুরক্ষিত থাকা যায় আবার প্রেমের মুহূর্তটিও নষ্ট না হয়?
(গ) যৌন মিলনের কোন প্রক্রিয়াতে রোগের সম্ভাবনা বেশি আর কোনগুলিতে সংক্রমণের ঝুঁকি কম? যৌন আচরণের যথাযথ নীতি নির্ধারণ করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের এ সব তথ্য জানতে হবে। সুরক্ষিত যৌন-জীবন যাপনের জন্যে এগুলি জানা খুবই প্রয়োজনীয়।