সালাদ হিসেবে হলেও খেতে হবে বাঁধাকপি
বাঁধাকপি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পুষ্টিকর শীতকালীন সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ (ক্যারোটিন), ‘বি’ ও ‘সি’ এবং ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। পশ্চিম ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগরের উত্তর উপকূলবর্তী দেশসমূহ বাঁধাকপির উত্পত্তি স্থান বলে ধারণা করা হয়। পরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এর বিস্তার লাভ করে।
মিসরের শৌখিনদার সম্রাটরা খুব যত্ন করে খেতেন বাঁধাকপি। বোঝাই যাচ্ছে, শত শত বছর আগে থেকে এটি খাওয়া হয়। এটি যেমন সহজলভ্য, দামেও সস্তা। শীতে বাজার সয়লাব হয় বাঁধাকপিতে।
পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ বাঁধাকপি আমাদের দেশে মৌসুমি সবজি হলেও এখন প্রায় সব সময়ই পাওয়া যায়। বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। তাই শুধু সবজি হিসেবে নয়, সালাদ হিসেবে প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
* কাঁচা বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। তাই বাঁধাকপির পাতা কুচি করে কেটে সালাদ হিসেবে খেতে পারেন। কিন্তু বেশি সিদ্ধ হলে বেশিরভাগ উপাদান নষ্ট হয়ে যায়।
* বাঁধাকপির সবুজ পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও পটাশিয়াম রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ফাইবার, ফোলেট এবং থিয়ামিন।
* বাঁধাকপি হরমোনজনিত ক্যান্সার বিশেষ করে মেয়েদের ওভারিতে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
* এন্স মিথাইলমিথিওনিন নামের এক ধরনের কেমিক্যাল বিদ্যমান থাকায় আলসারের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
* বাঁধাকপি ভিটামিন বি নিঃসরণে সাহায্য করে।
* ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং কোলন ক্যান্সারের জন্য বাঁধাকপি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
* এছাড়া বাজারে লাল বাঁধাকপি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি অবশ্য সবুজ বাঁধাকপির মতো নরম হয় না। তবে সালাদ হিসেবে খেতে পারেন।
* বাজারে লাল বাঁধাকপিও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এ লাল বাঁধাকপিতে ফাইবার বেশি থাকে। এছাড়া ভিটামিন সিও যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যমান রয়েছে।
* সবুজ বাঁধাকপির চেয়ে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনের পরিমাণ লাল বাঁধাকপিতে বেশি থাকে।
* বাঁধাকপি কেটে বেশিক্ষণ ফেলে রাখবেন না। পেপার ব্যাগ বা প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রাখুন।
* বাঁধাকপির ভেতরের অংশে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি বহন করে। তাই ফেলে না দিয়ে বাঁধাকপির পুরো অংশটাই সালাদ বা রান্নায় ব্যবহার করুন।