৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

জ্বর ও কাশিতে করণীয়

হঠাৎ করেই জ্বর হতে পারে। কী মাত্রার জ্বর তা পরিমাপ করতে হবে। শেষ রাত ও সকালে তাপমাত্রা কমে যায়। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাপমাত্রার এই উঠানামার ফলে কিছু কিছু ভাইরাস শরীরের ওপর আক্রমণের সুযোগ পায়। আবহাওয়ায় তাপমাত্রার এই দ্রুত পরিবর্তনের সাথে যারা খাপ খাওয়াতে পারেন না, তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন জ্বরসহ সর্দি-কাশিতে। ঋতু পরিবর্তনের ফলে জ্বরের এই প্রকোপ নতুন কিছু নয়, সাধারণের কাছে এটি ‘ফ্লু’ বা ভাইরাস ফ্লু হিসেবে পরিচিত।

যেসব লক্ষণ দেখা যায়

রোগী মূলত জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি, অরুচি, শরীর ব্যথা, কাশির উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসেন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। ঠাণ্ডা-সর্দির কারণে কান বন্ধ হতে পারে। কান বন্ধের সাথে কানে ব্যথাও থাকে। এসব ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা নেয়া উচিত। অনেক সময় শিশুর প্রচণ্ড সর্দি লেগে যায়। কোনো কোনো শিশুর ক্ষেত্রে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বরও দেখা দিতে পারে। তবে বড়দের ক্ষেত্রে জ্বর ততটা তীব্রভাবে না-ও হতে পারে।

জ্বর হলে কী করবেন

এ অবস্থায় প্রধমেই জ্বর কমানোর ব্যবস্থা হিসেবে চিকিৎসকের পরামর্শে জ্বর কমানোর ওষুধ সেবনের পাশাপাশি সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে সারা শরীর মুছে দেয়া অর্থাৎ স্পঞ্জিং করা উচিত। জ্বর ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটে নেমে না আসা পর্যন্ত এই স্পঞ্জিং চালিয়ে যেতে হবে। দুই-এক ঘণ্টার মধ্যে উচ্চতাপমাত্রার জ্বর না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

শিশুদের দিকে বিশেষ নজর

ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত শিশু প্রায়ই পানিশূন্যতায় ভোগে। কেননা জ্ব্রের তাপে শরীর পানি হারায়্ তাই শিশুকে প্রচুর পানি ও তরল খাবার দিন। শুধু পানি পান করতে না চাইলে ফলের রস, তরমুজ বা আঙুর, ডাবের পানি, স্যুপ ইত্যাদি দিন। সেইসাথে শিশুর দরকার প্রচুর বিশ্রাম। বেশির ভাগ শিশুর খাওয়ার রুচি নষ্ট হয়ে যায়, কিছুই খেতে চায় না। এমন খাবার দিন যা অল্প খেলেও বেশ শক্তি পাবে। যেমন দুধ-চিনি দিয়ে তৈরি কোনো নাশতা, মুরগির মাংসের স্যুপ, পান্তা, ফলমূল ইত্যাদি।

জ্বর বাড়লে পা মুছে দিন, সাথে সাধারণ প্যারাসিটামল। ওষুধের সঠিক মাত্রাটি জেনে নিন চিকিৎসকের কাছ থেকে। নাক বন্ধ থাকলে স্যালাইন পানির ড্রপ ব্যবহার করা যায়্ খুসখুসে কাশিতে মধু বা আদার রস বেশ আরাম দেবে। ভাইরাস ফ্লু পাঁচ থেকে সাত দিনের মাথায় এমনিতেই কমে যায়। কিন্তু জ্বর দীর্ঘস্থায়ী ও তীব্র মাত্রার হলে, শিশুর শ্বাসকষ্ট হলে বা সে খাওযাদাওয়া একদম ছেড়ে দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সর্দি, কাশি ও গলাব্যথায় কী করবেন

সর্দি-কাশি বা সামান্য গলাব্যথা এমন কোনো বড় ব্যাপার নয়। তবে এশবার ঠাণ্ডা লাগরে তা সারতে অন্তত এক সপ্তাহ লাগবেই। আর কাশি তো বেশ কয়েক দিন থাকতে পারে, এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। সাধারণ কাশির চিকিৎসা আপনিই করতে পারেন। এ ধরনের কাশি একটি নির্দিষ্ট সময় পর আপনা-আপনি ভালো হয়ে যায় তবে কাশির সাথে যদি জ্বর হয়, তাহলে গুরুত্ব দিতে হবে। ঠাণ্ডা খাবার, ফ্রিজের পানি পরিহার করতে হবে। কুসুম গরম পানি পান করতে পারলে ভালো হয়। হাল্কা কুসুম কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গলা গড়গড়া করলে গলাব্যথা সহজেই ভালো হয়ে যায়। দিনে কমপক্ষে দুইবার ৫-১০ মিনিট সময়ে গড়গড়া করা উচিত। ধুলাবালি এড়িয়ে চলুন।

ধূমপান পরিহার করুন

খুসখুসে কাশির একটি অন্যতম কারণ হলো ধূমপান। আর ঠাণ্ডা লাগলে তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই ধূমপান পরিহার করতে হবে।

শিশুর কাশি মানেই নিউমোনিয়া নয়

এ সময়ে শিশুরা যে সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভোগে তার বেশির ভাগই নিউমোনিয়া নয়। ভাইরাসজনিত এই রোগের নাম ব্রংকিওয়ালইটিস। ব্রংকিওলাইটিসকে অনেকে নিউমোনিয়া ভেবে ভুল করেন। ব্রংকিওলাইটিস দুই বছরের কম বয়সের শিশুদের বেশি হয়ে থাকে। ব্রংকিওলাইটিসে আক্রান্ত শিশুকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করা যায়। তবে সুস্থ শিশুদের আক্রান্ত শিশু থেকে দূরে রাখতে হবে।

শিশুকে সিগারেট, মশার কয়েল ও রান্নাঘরের ধোঁয়া থেকে দূরে রাখুন। ভাইরাসজনিত এই রোগে সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক লাগে না। তবে শ্বাসকষ্ট খুব বেশি হলে, খিঁচুনি, ঠোঁট নীল বা কালো হয়ে গেলে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিতে হবে।

Comments

comments