সুস্থভাবে বাঁচতে চাইলে প্রতিদিন মধু ও দারুচিনি খান
সবাই বলে এই প্রজন্মের এত রোগে ভোগার পিছনে নাকি ভেজাল খাবার দায়ী। কথাটা যে একেবারে ভুল, এমন নয়! কিন্তু আমাদের শরীর ঠিক না থাকার পিছনে আমাদের দোষও কম নেই।
এই যেমন দেখুন না প্রকৃতি আমাদের হাতে একাধিক অস্ত্র তুলে দিয়েছে। তবু আমরা সেগুলি ব্যবহার করি না। ফলে সহজেই নানা রোগ আমাদের ঘিরে ধরে তাণ্ডব করে।
তাই তো আজ আপনাকে এক প্রশ্ন করতে চাই। করতে পারি কি? কি প্রশ্ন করে ফেলুন? খুব সহজ একটা প্রশ্ন। যত বছরই বাঁচুন না কেন, সুস্থভাবে বাঁচতে চান, নাকি ডাক্তারের দাস হয়ে শ্বাস নিতে চান? এ কেমন প্রশ্ন ভাই! সবাই তো সুস্থভাবেই বাঁচতে চায়। এমন কাউকে কি খুঁজে পাবেন যে বলবে যে আমি অসুস্থ হতে চাই! তাই যদি হয় তাহলে মধু এবং দারুচিনি খাওয়ার অভ্যাস করেননি কেন?
এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই দুটি প্রকৃতিক উপাদান একসঙ্গে যদি খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা যেমন বাড়ে, তেমনি ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। মেলে আরও অনেক উপকার।
যেমন…
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়
নিয়মিত যদি পরিমাণ মতো দারুচিনির পেস্টের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের পরিমাণ বাড়তে থাকে যে ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মারাত্মক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে ক্লান্তিও দূর হয়।
২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে
পরিবারে কি এই মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে? তাহলে তো বন্ধু আজ থেকেই দারুচিনি এবং মধু খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান ইনসুলের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৩. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে
মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা শরীর থেকে টক্সিক উপাদানদের বের করে দিয়ে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমায়। অন্যদিকে, দারুচিনিতে উপস্থিত অ্যান্টি-টিউমার প্রপার্টিজ শরীরে কোথাও টিউমার হতে দেয় না। ফলে ক্যান্সার রোগ ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগই পায় না।
৪. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত দারুচিনি এবং মধু খেলে স্টমাকের গ্যাস বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদহজম এবং বুক জ্বালার মতো সমস্যা কমে যায়। প্রসঙ্গত, ব্লাডার ইনফেকশনের মতো রোগের চিকিৎসাতেও এই দুটি প্রাকৃতিক উপাদান বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫. আর্থ্রাইটিসের প্রকোপ কমায়
নিয়মিত গরম পানিতে পরিমাণ মতো মধু এবং দারুচিনি পেস্ট মিশিয়ে খেলে জয়েন্টে প্রদাহ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হাড়ও শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
৬. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়
সপ্তাহে ২-৩ দিন পরিমাণ মতো দারুচিনি পেস্ট নিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে যদি মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে স্কিনের যে কোনও সমস্যা কমে যায়। সেই সঙ্গে কোষের উপরের স্তরে জমতে থাকা মৃত কোষের স্তর সরে যায়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণোচ্ছল হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বলিরেখা এবং বয়সের ছাপও কমতে থাকে।
৭. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বা এল ডি এল মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে দারুচিনি এবং মধু বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, মধুতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের ভেতরে প্রদাহ কমায়। ফলে কোনও ধরনের হার্ট ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে কমে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও। সূত্র: বোল্ডস্কাই