পুষ্টিগুণে ভরা পালংশাক
পালং শাক একটি জনপ্রিয় শাক। সহজলভ্য এ শাকটিতে রয়েছে অনেক খাদ্যগুণ। শুধুমাএ ভিটামিন ডি ছাড়া বাকি সব ভিটামিনই রয়েছে এই শাকটিতে। বিশেষ করে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিনে ই এবং ভিটামিন সির উৎস এই পালং শাক। প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, আয়রনসহ বেশকিছু প্রয়োজনীয় মিনারেল রয়েছে এতে। এই সমস্ত পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম এর জন্য অপরিহার্য।
চেহারায় বয়সের ছাপ লুকানোর জন্য আমরা কতোকিছুই না করি। মুখে দামি ক্রিম মাখা থেকে শুরু করে শাক-সবজির ন্যাচারাল ট্রিটমেন্টও নিচ্ছে অনেকেই। অথচ পালং শাকেই আছে এন্টি-অক্সিডেন্ট। আর এন্টি-অক্সিডেন্টের কাজই হলো কোষের ক্ষয়রোধ করে শরীরকে তারুণ্যদীপ্ত এবং সুস্থ-সবল রাখা। অর্থাৎ বার্ধক্যকে জয় করতে পালং শাকের রয়েছে অনন্য ভূমিকা।
এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD
পালং শাকের এন্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কেও কোষগুলোকেও সতেজ এবং কর্মক্ষম রাখে। তাই মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এর জুড়ি নেই। তাছাড়া পালং শাকের রয়েছে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ক্যান্সার প্রতিরোধ, হৃদ যন্ত্রের সুরক্ষাসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
চোখের পুষ্টি যোগাতে প্রাথমিক উৎস হলো লিউটিন। লিউটিন জেনথোফাইল পরিবারের কেরোটিনয়েড এবং রেটিনার মলিকুলার পিগমেন্ট দু’টি প্রধান উপাদান। রেটিনার মধ্যে ম্যাকিউল দু’টি চোখের দৃষ্টি ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। লিউটিন এক ধরনের কেরোটিনয়েড। যা মানুষের চোখের ম্যাকুলা এবং লেন্সে পাওয়া যায়। এটি এক ধরণের প্রাকৃতিক এন্টি অক্সিডেন্ট। যা ফল এবং গাড় সবুজ জাতীয় সবজিতে থাকে। যেমন- পালং শাক, বাধাকপি, ব্রকলি, কিউ ফল ইত্যাদি।