রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ-ক্যানসার নিরাময় করে পানিফল
পানিফল অনেক উপকারী একটি ফল। পানিফলকে অনেকে শিংড়া নামেও চেনেন। দেশে একসময় পানিফলের ব্যাপক কদর থাকলেও তা এখন অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। হয়তো আগের মত এখন আর এটি সহজলভ্য নয় অথবা এটির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন অনেকে।
এ ফলটিতে রয়েছে অনেক ভেষজ গুণাগুণ। পেটের রোগ থেকে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণসহ ক্যানসার প্রতিরোধেও এ ফলটির ভূমিকা রয়েছে।
রয়েছে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম। শরীর ঠাণ্ডা করতে পানিফলের জুড়ি নেই। শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে দারুণ কাজ দেয় পানিফল।
১০০ গ্রাম পানিফলে ৪৮.২ গ্রাম পানি থাকে। প্রোটিন থাকে ৩.৪ গ্রাম। কার্বোহাইড্রেডের পরিমাণ ৩২.১ গ্রাম। আর ফ্যাট থাকে মাত্র ০.২ গ্রাম। রয়েছে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম।
এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD
আপেল, কমলালেবুর মতো আদরের না হতে পারে, কিন্তু তাই বলে পানিফল মোটেই ফেলানার নয়। পেটের রোগ থেকে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ। সবক্ষেত্রে দারুণ কাজ দেয় এই ফল। এমনকি এতে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক গুণও।
শরীর ঠাণ্ডা করতে পানিফলের জুড়ি নেই। শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে দারুণ কাজ দেয় এই পানিফল।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর পানিফল। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ভাইরাল গুণ রয়েছে এই ফলের। এমনকি অ্যান্টিক্যানসার হিসেবেও কাজ করে পানিফল। বমিভাব, হজমের সমস্যা দূর করতে পানিফলের জুড়ি নেই।
অনিদ্রা, দুর্বলতা দূর করতে কাজে দেয় এই ফল। পানিফল ঠাণ্ডালাগা, সর্দিতেও স্বস্তি দিতে পারে। ব্রঙ্কাইটিস, অ্যানিমিয়া কমাতে পারে এই ফল।
পটাশিয়াম থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভাল কাজ করে পানিফল। ত্বক উজ্জ্বল আর সতেজ রাখতেও পানিফল অনবদ্য। পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন B, ভিটামিন E ভরপুর পানিফল চুল ভালো রাখে।
সাধারণত চীন, জাপান, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, ফিলিপাইন, আফ্রিকা- এসব দেশে পানিফল আবাদ হয়। এটি যদিও অনেকে পানির বাদাম বলে কিন্তু আসলে বাদামের কোনো বৈশিষ্ট্যই নেই এতে। এটি পুরোপুরিভাবে পানীয় ফল। কাঁচা অবস্থায় এ ফল খাওয়া যায়। আবার সিদ্ধ করে, রান্না করে কিংবা প্রক্রিয়াজাত করেও এটি খাওয়া যায়।