৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

দুই কলায় বিস্ময়কর উপকারিতা

কলা নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা আছে। কেউ বলেন, কলা খেলে ওজন বাড়ে। আদতে কিন্তু তা নয়। পেট খারাপের মধ্যে কলা, খেয়েছেন কখনও? নিশ্চিত ভাবেই না। জানেন কি ধূমপায়ীদের জন্য কেন উপকারী এই ফলটি? আপনার জন্য রইল পাকা কলার সাত-সতেরো। জাস্ট একমাস সকালের নাশতায় দুটো করে পাকা কলা খান। তফাতটা বুঝবেন নিজেই। বাঁচবেন হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের হাত থেকে।

১. অ্যালার্জি
কলায় থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড নন-অ্যালার্জিক। ফলে, অ্যালার্জির ধাত থাকলে কলা খেতে পারেন।

২. অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা
কলায় উচ্চমাত্রায় আয়রন রয়েছে।

অ্যানিমিয়ার চিকিত্‍‍‌সায় অত্যন্ত জরুরি উপাদান।

৩. ইনস্ট্যান্ট এনার্জি
কলায় সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজের উপস্থিতি ইনস্ট্যান্ট এনার্জির যোগান দেয়। ফলে, শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে কলা খেতে পারেন।

৪. কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়ায়
কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে রোজ কলা খাওয়ার অভ্য্যাস গড়ে তুলুন। পেট পরিষ্কার হবে। ডায়েরিয়াতেও কলা উপকারী।

৫. আমাশায়
বাচ্চাদের পেটে আম হলে, পাকা কলা চটকে খাওয়ালে ভালো কাজ দেয়।

৬. হ্যাংওভার কাটায়
অল্প মধুর সঙ্গে কলার মিল্কশেক বানিয়ে খেলে হ্যাংওভার কাটে। শরীর হয় চাঙ্গা।

৭. ধূমপান ছাড়তে চাইলে
ধূমপান ছাড়তে চাইলে রোজ কলা খাওয়ার অভ্যেস করুন। বা, যাঁরা বেশি ধূমপান করেন, তাঁরাও নিয়মিত কলা খেতে পারেন। কারণ, কলায় থাকা পটাশিয়াম, ভিটামিন ও ম্যাগনেশিয়াম নিকোটিনকে শরীরের বাইরে বের করে দেয়।

৮. মেজাজ ঠিক করে
কোনও কারণে মেজাজ তিরিক্ষি? কলা খান। কলায় উপস্থিত ট্রিপটোফ্যান নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড সেরোটোনিন তৈরি করে, যা মেজাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৯. মস্তিষ্ক সতেজ রাখে
কলাতে থাকা পটাশিয়াম মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখে।

১০. কিডনির সমস্যায়
কলায় ভরপুর কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। একইসঙ্গে আছে স্বল্প পরিমাণ প্রোটিন। যা কিডনি ডিজঅর্ডারের ক্ষেত্রে জরুরি।

১১. ওভার ওয়েটে
সর তোলা দুধের সঙ্গে নিয়মিত কলা খান। অতিরিক্ত ওজন কমবে।

১২. হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়
কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম বডি ফ্লুইড বা দেহরসকে নিয়ন্ত্রণ করে। কোষের মধ্যে ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স করে। যার জন্য ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

১৩. রক্তের জন্য ভালো
কলায় রয়েছে ভিটামিন বি৬। এটি হিমোগ্লোবিন ও অ্যান্টিবডি তৈরিতে কাজে লাগে।

১৪. হাড় মজবুত করে
কলায় থাকা পটাশিয়াম ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমিয়ে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়। হাড়কে করে তোলে শক্তপোক্ত।

১৫. স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম স্নায়ুতন্ত্রকে চাঙ্গা রাখে। স্ট্রোকের হাত থেকে রক্ষা করে। গবেষণায় জানা গিয়েছে, নিয়মিত কলা খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অন্তত ৪০ শতাংশ কমে।

১৬. অন্ত্রের অসুখে
অতি সহজে হজম হয়। ফলে, অন্ত্রের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের জন্য কলা ভীষণ উপকারী।

১৭. আলসারে
অ্যান্টি-অ্যাসিডের কাজ করে। ফলে, আলসারের রোগীদের জন্য ভালো।

১৮. দৃষ্টিশক্তি ধরে রাখতে
বয়স বাড়ার সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমে আসে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয়, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ডেভেলপমেন্ট। নিয়মিত কলা (বা অন্যান্য ফলমূল) খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে পারবেন।

Comments

comments