মোটা হতে চাইলে এগুলো বেশি করে খান
প্রথমে কেউ সেভাবে চিন্তা না করলেও একটা সময় পরে প্রায় প্রত্যেকেই বুঝতে পারে যে শুধুমাত্র ওজন কমের জন্য বিয়ে হচ্ছে না সুলগ্নার। ডানাকাটা না হলেও মোটের ওপর সুন্দরীই বলা যায় সুলগ্নাকে। লেখা পড়া শেষ করে একটি স্কুলে ভূগোলের শিক্ষিকা। কিন্তু ওই যে, চোখে লাগার মতন রোগা। সুলগ্নার মতন অনেক মানুষের এখন এই সমস্যা। সাধারণত মোটা না হওয়ার পিছনে দুটি কারণ থাকে। প্রথমত কোনওরকম শারীরিক অসুবিধা। দ্বিতীয়ত যথাযথ খাবার না খাওয়া। শারীরিক অসুস্থতার জন্য কী করতে হবে তা চিকিৎসরা বলবেন। আপনাদের জন্য আজ রইল ওজন বাড়ানোর কিছু টিপস।
সকালে উঠে বাদাম ও কিসমিস:
ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম আর কিসমিসের বিকল্প নেই। রাতে ঘুমাবার সময় অল্প পানিতে আধ কাপ কাঠ বাদাম ও কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন ৷সকালে সেগুলো ফুলে উঠলে খেয়ে নিন।
খান প্রচুর শাক সবজি ও ফল:
এমন অনেক ফল আর সবজি আছে যারা কিনা উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত। আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, কাঁচা কলা ইত্যাদি ফল ও সবজি খেলে ওজন বাড়বে।
খাবারের পরিমাণ বাড়ান:
আপনি যদি কম খাওয়ার কারণে রোগা হয়ে থাকেন, তাহলে খাবারের পরিমাণ আপনাকে বাড়াতেই হবে। একটি ধারণা আছে যে বারবার খেলে ওজন বাড়বে। এটা মোটেও ঠিক না। বরং নিয়ম মেনে খান। পেট ভর্তি থাকলে মেটাবলিজম হার কমে যায়, ফলে খাবারের ক্যালোরির অনেকটাই বাড়তি ওজন হয়ে শরীরে জমবে। অল্প অল্প করে বারবার খাওয়াটা মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়, ফলে ওজন কমে।
খান ‘ফ্যান’ ভাত:
অধিকাংশ মানুষই ভাতের ফ্যান ফেলে দেয়৷ ফ্যান ফেলে দিয়ে ভাতের স্টার্চের অনেকটাই চলে যায় ফ্যানের সঙ্গে। ওজন বাড়াতে চাইলে ভাতের ফ্যান না ফেলাই ভালো।
ঘুমোবার ঠিক আগেই দুধ ও মধু:
ওজন বাড়াবার জন্য একটা একটা অব্যর্থ কৌশল। রাতের বেলা ঘুমাবার আগে অবশ্যই পুষ্টিকর কিছু খাবেন। ঘুমাবার আগে প্রতিদিন এক গ্লাস ঘন দুধের মাঝে বেশ অনেকটা মধু মিশিয়ে খেয়ে নেবেন।
কমান মেটাবলিজম হার:
রোগা চেহারার পেছনে দায়ী অবশ্যই উচ্চ মেটাবলিজম হার। মোটা হতে গেলে প্রথমেই এই মেটাবলিজম হার কমাতে হবে। মেটাবলিজম হার কম রাখার জন্য প্রতিবেলা খাবারের পর লম্বা সময় বিশ্রাম করুন। খাবার পর কমপক্ষে ১ ঘণ্টা কোনও কাজ করবেন না।
যোগ করুন কিছু বিশেষ খাবার:
আপনার নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি অবশ্যই কিছু উচ্চ ক্যালোরি এবং প্রোটিন সম্পন্ন খাবার যোগ করতে হবে খাদ্য তালিকায়, যেমন- ঘি, মাখন, ডিম, চিজ, পনির, বাদাম, দুধ, ব্রকোলি, আলু ভাজা, মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকলেট, মেয়নিজ ইত্যাদি।