১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

ভয়াবহ যৌনরোগ সিফিলিস

যৌনরোগগুলোর মধ্যে অন্যতম মারাত্মক রোগ সিফিলিস। এটি মূলত একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ। এই রোগ সাধারণত সহবাসের মাধ্যমেই ছড়ায়৷ ট্রিপোনেমা প্যাল্লিডাম নামের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এই রোগ হয়৷ গর্ভবতী মায়েরা এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের শিকার হলে, তাদের ক্ষেত্রে গর্ভজাত শিশু অ্যাবনরমাল হতে পারে বা শিশু জন্মের পরই মারা যেতে পারে৷

সিফিলিস কীভাবে ছড়ায় : অনিরাপদ যৌনমিলন বা সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে সহবাসের ফলে এই রোগ ছড়ায়। ভ্যাজাইনাল, অ্যানাল বা ওরাল সেক্সের মাধ্যমেও এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করে। শুধুমাত্র সহবাসই য়ে এই রোগের জন্য দায়ী তা কিন্তু নয়, রক্তদানের সময় একই সূঁচ ব্যবহার করলেও এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। কিন্তু একই শৌচালয় ব্যবহার করলে বা জামা বদল করলে এই ব্যাকটেরিয়া ছড়ায় না। সিফিলিস রোগের ব্যাকটেরিয়া মানব দেহের বাইরে বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে না।

রোগের লক্ষণ : এই রোগের তিনটি আলাদা পর্যায় রয়েছে। রোগের পর্যায় অনুযায়ী উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়। রোগের প্রথম ধাপকে প্রাইমারি সিফিলিস বলা হয়। এ অবস্থায় যৌনাঙ্গ বা মুখের আশে পাশে যন্ত্রণাহীন কালশিটে দাগ পড়তে দেখা যায়। এই দাগগুলি ২ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে আবার মিলিয়ে যায়।

দ্বিতীয় ধাপটি হলো সেকেন্ডারি সিফিলিস। এই পর্যায়ের লক্ষণ আবার আলাদা হয়, যেমন- ত্বকে ফুসকুড়ি, গলা ব্যথা ইত্যাদি। এগুলি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেরে যায়। এরপরে এটি সুপ্ত অবস্থায় চলে যায় এবং এটি প্রায় কয়েকবছর ধরে থাকে।

তৃতীয় পর্যায়ে এটিকে টেরটিয়ারি সিফিলিস বলা হয়ে থাকে। এটি হলো সবচেয়ে মারাত্মক পর্যায়। প্রতি তিন জন সিফিলিস আক্রান্ত রোগী যারা এর চিকিৎসা করেন না, তাদের ক্ষেত্রে এই টেরটিয়ারি সিফিলিস দেখা যায়৷ এটি মস্তিষ্ক, চোখ শরীরকে গুরুতরভাবে ক্ষতি করতে পারে।

রোগের প্রতিকার : এই রোগের নির্ণয় করতে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ একান্ত প্রয়োজন। উপসর্গের সূচনা হলে যৌন স্বাস্থ্য ক্লিনিক বা ডাক্তারের কাছে যান। প্রাথমিক সিফিলিস চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে সিফিলিস ধরা পড়লে অ্যান্টিবায়োটিক ও পেনিসিলিন ইনজেকশনের মাধ্যমে এটি সারিয়ে তোলা যায়৷

তবে সিফিলিস রোগের চিকিৎসা না হেলে এটি ভয়াবহ আকার নিতে পারে। এছাড়াও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই রোগ থেকে এইআইভি সংক্রমণ হতে পারে। তাই এই রোগ এড়াতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো অরক্ষিত যৌনমিলন এড়িয়ে চলা এবং সুরক্ষিত যৌন পদ্ধতি গ্রহণ করা।

Comments

comments