মুখমেহনে পুরুষদের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে?
একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক থেকে মানব শরীরে এইডসের ভাইরাস থাবা বসায়। একথা এখন আর কারওর অজানা নয়। কিন্তু জানেন কি, একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে মুখমেহনও বিপদ ডেকে আনতে পারে? সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, যেসব ব্যক্তি পাঁচ বা তার বেশি সঙ্গিনীর সঙ্গে মুখমেহন করেছেন, তাঁদের মাথা ও কাঁধের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
প্রেমের সম্পর্কে যৌনতা থাকবে, এটা খুবই স্বাভাবিক। বিয়ের পরে তো বটেই, বিয়ের আগেও আকছারই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন অনেকেই। কারও কারও আবার একাধিক যৌনসঙ্গী বা সঙ্গিনীও থাকে। কিন্তু, এই অবাধ যৌনতা থেকে মানব শরীরে নানা ধরণের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। যার মধ্যে অন্যতম এইডস। আর এই রোগের কোনও চিকিৎসা না থাকায়, বিপদ আরও বাড়ে। তাই এইডস সংক্রমণ ঠেকাতে যৌনতা নিয়ে সচেতনতার প্রচার কিছু কম হয় না। আর এবার ক্যানসারের সঙ্গেও যৌনতার সম্পর্কের হদিশ মিলল। লন্ডনের জন্স হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেল্থের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পাঁচ বা তার বেশি সঙ্গিনীর সঙ্গে মুখমেহন করলে, পুরুষদের শরীরে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা সংক্ষেপে এইচপিভি-র সংক্রমণ ঘটে। আর এই সংক্রমণ থেকেই মাথা ও কাঁধের ক্যানসারের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বাড়ে। ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে আবার এইচপিভি-র সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে যাঁরা ধুমপান করেন না বা পাঁচ বা তার বেশি সঙ্গিনীর সঙ্গে মুখমেহন লিপ্ত হননি, তাঁদের এই ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তেরো হাজারেরও বেশি মানুষের উপর গবেষণা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা, তাতে দেখা গিয়েছে, মহিলাদের তুলনায় পুরুষদেরই এই সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
সাধারণভাবে যতধরণের যৌন রোগ হয়ে থাকে, তারমধ্যে এই হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি-র সংক্রমণই সবচেয়ে বেশি। তবে যৌন রোগ নয়, বিজ্ঞানীদের মতে, এইচপিভি আসলে একটি যৌন সংক্রমণ। এই সংক্রমণ এইচআইভি বা এইডসের থেকে কিছুটা আলাদা। চিকিৎসকদের দাবি, যৌন সক্রিয় ব্যক্তিরা জীবনের কোনও না কোনও সময়ে এইচপিভি-র সংক্রমণে আক্রান্ত হন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এইচপিভি খুব একটি ক্ষতিকারক নয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এইচপিভি সংক্রমণ থেকে গোপনাঙ্গে ফোঁড়া হতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে, ক্যানসার হতে পারে।