ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে গাজরে!
গাজর ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ পুষ্টিগুণে ভরা একটি ‘শক্তিশালী’ সবজি। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন । গাজরে বেশি এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও শক্তি জোগায়।
বিশেষজ্ঞের মতে, ক্যারোটিনের ব্যবহার এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে, বিটা ক্যারোটিন এক ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট। এ এন্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেশনকে প্রতিরোধ করে এবং শরীরকে ফ্রি রেডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে।
ফ্রি রেডিকেল অক্সিডেশনের মাধ্যমে কোষের ক্ষতি করে। এটা ফ্রি রেডিকেল কোষের ক্ষতির মাধ্যমে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে।
গবেষণায় দেখা যায়, এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ফ্রি রেডিকেল প্রতিরোধ করে এবং হার্টে সমস্যা ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ : যারা বেশি পরিমাণ ক্যারোটিনয়েড খায় তাদের স্তন, কোলন এবং ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। এন্টিঅক্সিডেন্টের কার্যকারিতার জন্য ক্যারোটিনয়েড ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। বিটা ক্যারোটিন ক্যান্সার কোষ সৃষ্টিতে বাধা দেয়।
হৃদরোগ : যারা খাবারে প্রতিদিন বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার খায় তাদের হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি কমে যায়। বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন ই (ঊ) এর মতো কাজ করে যা ক্ষতিকর খউখ কোলেস্টেরল বের করে দেয় যা থারোস্কেলোরোসিস এবং স্ট্রোক ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
বয়স জনিত চোখের ত্রুটি : প্রতিদিন বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে অগউ ঝুঁকি কমে যায়। বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে, চোখের ফাংশন ঠিক রাখে এবং অগউ ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
শ্বাসতন্ত্র : বেশি পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি খেলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করে তার পাশাপাশি শ্বাস-প্রশ্বাসের বিভিন্ন সমস্যা যেমন- অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস এবং এমফিসেমা প্রতিরোধ করে।
মুখের ক্ষত : যেসব লোকদের মুখে ক্ষত রয়েছে তারা বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে তাদের মুখে ক্ষত হওয়ার আশংকা কমে যায়।
বাত ব্যথায় : বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি বাত ব্যথার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে : বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।