৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

জেনে নিন ঘুমের ওষুধে কি কি ক্ষতি হ্য়?

সারাদিনে কাজের ক্লান্তি, মানসিক চাপের পরও নানান চিন্তায় অনেকেরই রাতে ভালো ঘুম হয় না। আবার সকাল হলেই ছুটতে হয় কর্মস্থলে। সারাদিনই চোখের পাতায় ঘুম ঘুম ভাবটা লেগে থাকে। বাড়তে থাকে অবসাদ আর অস্থিরতা। রাতের ঘুম পুষিয়ে নিতে অল্প মাত্রার ঘুমের ওষুধ খাওয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না। কিছুদিন এভাবে চললেও, ঘুম আনতে দরকার হয় আরও বেশি মাত্রার ওষুধ। একটা সময় দেখা যায়, ঘুমের ওষুধের প্রতি পুরোপুরি আসক্তি জন্মে গেছে।

ঘুম ভালো হওয়ার উদ্দেশ্যে ওষুধ খাওয়া হলেও এ অভ্যাসে দীর্ঘকালীন প্রভাব পড়ে শরীরে ওপর। আর সেটি অত্যন্ত মারাত্মক হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ঘুম ভালো হওয়ার উদ্দেশ্যে ওষুধ খাওয়া হলেও এ অভ্যাসে দীর্ঘকালীন প্রভাব পড়ে শরীরে ওপর। আর সেটি অত্যন্ত মারাত্মক হয়ে দাঁড়াতে পারে।

  1. সুমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। সারাদিন কাজের চাপ, মানসিক ক্লান্তির পরও নানান চিন্তায় রাতে ভালো ঘুম হয় না তার! আবার সকাল হলেই ছুটতে হয় জীবিকার তাগিদে। তাই ঘুম পুষিয়ে নিতে তিনি অল্প মাত্রার ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাতে যান
  2. এভাবে চলার সপ্তাহখানেক পর সুমি লক্ষ করলেন আগের মাত্রার ঘুমের ওষুধেও ঘুম হচ্ছে না তাই ওষুধের মাত্রা বাড়াতে হয়। এভাবে একটা সময় ঘুমের ওষুধের ওপর পুরোপুরি আসক্ত হয়ে পড়লেন তিনি।
  3. সাধারণত রোগীদের ঘুমের সমস্যা দূর করতে ডাক্তাররা ঘুমের ওষুধ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মানসিক চাপ, অবসাদ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে ভালো ঘুমের আশায় অনেকেই ঘুমের ওষুধ নিয়ে থাকেন।
  4. তবে ঘুমের উদ্দেশ্যে নিয়মিত নেওয়া হলে একটা সময় শরীর ওই ওষুধটির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
  5. স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘুম ভালো হওয়ার উদ্দেশ্যে ঘুমের ওষুধ নেওয়া হলেও এ অভ্যাসের দীর্ঘকালীন প্রভাব পড়ে শরীরে উপর। আর সেটি অত্যন্ত খারাপ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
  6. কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ঘুম এবং মৃগীরোগ বিভাগের পরিচালক কার্ল বাজিল এ বিষয়ে বলেন, “যারা ঘুমের ওষুধ নেন তারা ভালোভাবেই জানেন এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু এটি শরীরে কি পরিমাণে ক্ষতি করে এটি তারা জানেন না।”
  7. তিনি আরও বলেন, “ঘুম না হওয়ার সহজ সমাধান হিসেবে কাজ করে ঘুমের ওষুধ। তবে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান এটি নয়। বরং বেশিদিন ঘুমের ওষুধ গ্রহণের অভ্যাস লিভার এবং কিডনির ক্ষতি করে।”
  8. রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, “বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিষন্নতায় ভোগার পরিমাণ কিছুটা বেশি। আর এই মানসিক অবসাদ থেকে বাঁচতে তারা ঘুমের ওষুধের সাহায্য নেয়। তবে একবারে বেশি ঘুমের ওষুধ খাওয়া হলে তা লিভার এবং কিডনির গুরুতর ক্ষতি করতে পারে। আর দীর্ঘদিনের অভ্যাস খুব ধীরে ক্ষতি করবে।”
  9. স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটটিতে জানানো হয়, ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে উঠার পরেও অনেক সময় সারাদিন এর প্রভাব থেকে যায়। যা কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। যারা গাড়ি চালান তাদের জন্য এটি খুবই বিপদজনক। কারণ কিছু ঘুমের ওষুধে পরের দিন পর্যন্ত ‘হ্যাংওভার’ অনুভূত হয়ে থাকে। আর মাতালভাব নিয়ে গাড়ি চালানো বা রাস্তায় হাঁটাচলা করা একেবারেই নিরাপদ নয়।
  10. ডা. কামরুল বলেন, “ঘুমের ওষুধ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে দুর্বল করে দিতে পারে। এর ফলে হ্যালুশিনেশন এবং বিভ্রান্তির মতো সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া ঘুমের ওষুধে আসক্ত হয়ে পড়লে তা পানি পিপাসা কমিয়ে দেয়, এতে করে শরীরে পানি শূণ্যতা দেখা দিতে পারে ফলে তা কিডনিতে প্রভাব ফেলে। এ কারণে অনেক সময় হেপাটাইটিস ধরনের রোগও হতে পারে।”
  11. সব ধরনের ঘুমের ওষুধ একই ধরনের প্রভাব ফেলে না। ডা. কামরুল জানান, ঘুমের ওষুধের প্রভাব ভেদে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। এক ধরনের ওষুধ মস্তিষ্ককে উদ্দীপনা জাগায়।
  12. অপরটি হিপনোটিপ, বা ওই ওষুধগুলোর কারণে গ্রহণকারীর হ্যালুশিনেশন বা ভ্রান্তির সমস্যাগুলো দেখা দেয়। আর অপর ধরনের ঘুমের ওষুধের তালিকায় রয়েছে বহুল প্রচলিত নেশা দ্রব্যগুলো। এগুলো গ্রহণে খুব সহজেই আসক্ত হয়ে যায়।
  13. মেথি সম্পর্কে আমরা অনেকেই কম বেশি জানি। এটি তেতো স্বাদের এক ধরণের বীজ। এটি মসলা, খাবার এবং পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন-সি, পটাসিয়াম, আয়রণ, জিঙ্ক, কপার, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম। বার্ধক্যকে দূরে ঠেলে দিয়ে তারুণ্যকে ধরে রাখতে মেথির তুলনা নেই। এটি রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে ডায়বেটিক রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টরেল ও চর্বির মাত্রা কমিয়ে হার্ট ভালো রাখে।
  14. মেথির স্বাদ তিতা হওয়ায় নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ জীবানু বিশেষ করে কৃমি দূর হয়। ত্বকের ঘা, ফোড়াসহ ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়।
  15. প্রতিদিন সকালে ১ টেবিল চামচ মেথি চিবিয়ে অথবা রাতে ১ গ্লাস পানিতে ১ টেবিল চামচ মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই পানি খেলে দ্রুত শরীরেরর অতিরিক্ত ওজন কমে যায়।
  16. সমপরিমান লেবুর রস ও মধুর সঙ্গে মেথির গুঁড়া মিশিয়ে খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর কমে যায়।

Comments

comments