কর্মক্ষেত্রে যৌন অভিজ্ঞতার কথা জানালেন নারীরা
কাজ আর ব্যক্তিগত জীবন- এই দুটোকে না কি একসঙ্গে মেলাতে নেই! মিলিয়ে ফেললেই একটার গুঁতোয় জেরবার হয় অন্যটা! কাজ এসে নাক গলাতে থাকে ব্যক্তিগত জীবনে। ব্যক্তিগত সম্পর্কও তখন কেমন যেন কেজো হয়ে পড়ে! তা, বসের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন যে সব নারীরা, তাঁদের এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা ঠিক কীরকম?
খুব আশ্চর্য লাগলেও সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় বসের সঙ্গে নিজেদের যৌনজীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন অনেক নারীই! তাদের মধ্যে থেকে বিশেষ করে সমীক্ষাটি বেছে নিয়েছে পাঁচজনের বক্তব্যকে। অবশ্যই নাম গোপন রেখে। কী বলছেন সেইসব নারীরা?
মনে হয় , সম্পর্কটা বিয়ের দিকে যাচ্ছে : “যখন আমি ইন্টারভিউ দিই, তখনও জানতাম না আমার জীবনে এমন এক অভিজ্ঞতা জন্ম নিতে চলেছে। কিছু দিনের মধ্যেই আমি আকৃষ্ট হয়ে পড়ি আমার বসের প্রতি। তিনিও আমাকে পছন্দ করতেন। ফলে অল্প দিনের মধ্যেই আমাদের সম্পর্কটা শারীরিক এবং মানসিক সব সীমা অতিক্রম করে ফেলে। আমরা তুখোড় ভাবে পরস্পরের প্রেমে পড়ি। এখন দুই পরিবারই আমাদের সম্পর্কের কথা জানে। আমরাও দুই বাড়িতে সহজভাবে যাতায়াত করি। তাই মনে হচ্ছে, সম্পর্কটা বিয়ের দিকে যাচ্ছে”, জানিয়েছেন মার্সি!
সব দোষ খ্রিস্টমাস পার্টির , আমার নয় : সহকর্মী এবং বসের সঙ্গে কেন পার্টি করা উচিত নয়, তা জানিয়েছেন লিজ। “এক খ্রিস্টমাসে আমি পার্টি করছিলাম আমার সহকর্মী এবং বসের সঙ্গে। সবাই বাড়ি চলে যায়, কিন্তু আমরা দু’জন থেকে গিয়েছিলাম। নেশার ঘোরে আমি শুয়ে পড়ি বসের সঙ্গে। সকালে যখন দু’জনেই দু’জনকে নগ্ন অবস্থায় পাশাপাশি শুয়ে থাকতে দেখি, দু’জনেই অস্বস্তিতে পড়ি। এই অস্বস্তিটা অনেক দিন পর্যন্ত বজায় ছিল আমাদের মধ্যে। দু’জনেই দু’জনকে দেখলে এড়িয়ে যেতাম। পরে বুঝতে পারি- ব্যাপারটা ছেলেমানুষি হচ্ছে! তাই একদিন আমরা এক কফিশপে দেখা করি এবং কথা বলে সম্পর্কটা সহজ করে নিই!” উঁহু, তার পরে আর কোনও দিন বসের সঙ্গে শোননি লিজ!
জানতাম বস সবার সঙ্গেই শোয় , কিন্তু নিজেকে আটকাতে পারিনি : “যখন কাজে ঢুকেছিলাম, তখনই অনেকে আমায় সতর্ক করে দিয়েছিল। বলেছিল, আমার বস না কি কোনও মহিলা কর্মচারীকেই ছাড়ে না! সবার সঙ্গেই তার যৌন সম্পর্ক আছে। ব্যাপারটা জানার পরেও আমি নিজেকে আটকাতে পারিনি! কেন না ওর মতো সুপুরুষ এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব আমি খুব কম দেখেছি। ফলে একদিন অফিস ছুটির পরে আমরা একসঙ্গে বেরোই এবং একটা হোটেলে গিয়ে মিলিত হই! কিন্তু ওই একবারই- তার পরে আর বসের সঙ্গে আমার কোনও শারীরিক সম্পর্ক হয়নি! এটা নিছকই একটা রাতের ব্যাপার- ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড! তফাতের মধ্যে ওয়ান নাইট স্ট্যান্ডে আর দু’জনের দেখা হয় না, এখানে আমরা রোজই পরস্পরকে চোখের সামনে দেখি”, জানিয়েছেন মিশেল!
চাকরি ছাড়ব বলেই শুয়ে প্রতিশোধ নিয়েছিলাম : ডেবি যা বলছেন, তা শুনলে রীতিমতো চমকে উঠতে হয়! “আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটা যৌন প্রতিশোধ! আমার বস আমায় খুব একটা পছন্দ করতেন না! কেন না আমি তাঁকে গায়ে হাত দিতে দিতাম না! এভাবেই চলছিল! অফিসে আমার লাঞ্ছনা বাড়ছিল। এমন সময় আমি একটা ভাল চাকরি পেয়ে যাই! তখন ঠিক করি, নতুন চাকরিতে ঢোকার আগে এখানে মাইনে বাড়িয়ে নেব। তাহলে নতুন অফিসেও মাইনে বাড়বে। তাই একদিন ভুলিয়ে-ভালিয়ে বসকে নিয়ে যাই এক হোটেলের ঘরে। আমরা সেক্স করি! তার পরে মহা খুশি হয়ে সে আমার মাইনে বাড়িয়ে দেয়! ঠিক তার পরের দিনেই! বাড়তি মাইনের উল্লেখ থাকা পে স্লিপটা হাতে পেয়েই আমি চাকরি ছেড়ে দিই! তার পরে আর কখনও যোগাযোগ করিনি!”
এর চেয়ে বড় সিক্রেট জীবনে আর নেই : “চাকরিতে ঢোকার কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারি, বস আমার সঙ্গে শুতে চাইছে! আমারও আপত্তি ছিল না। আমি সিঙ্গল, কাজেই কোনও অসুবিধা নেই! তাছাড়া আমি আমার বসকে যথেষ্ট পছন্দও করি। ফলে খুব সহজেই আমাদের মধ্যে একটা যৌন সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। এখনও আমরা সেই সম্পর্কটার মধ্যে আছি! কিন্তু এটাই আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় গোপন ঘটনা! আমি এটা কাউকে বুঝতে দিই না। এমনকী, অফিসে আমরা চোখাচোখিও করি না! পাছে কেউ কিছু বুঝতে পেরে যায়”, একগাল হেসে জানিয়েছেন ক্যারি!