দেশি পেয়ারার অভাবনীয় গুণ
বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সুস্বাদু ডাসা পেয়ারা। সুলভ মূল্যের পেয়ারার চাহিদা বেশি থাকায় বানিজ্যিক হারে এর চাষও দিন দিন বেড়ে চলেছে। গ্রামে ঘরের আঙিনায় অযত্ন অবহেলাতেও পেয়ারা গাছ ফল দেয়। অনেক সাধারণ একটি ফল তাই অনেকে এটিকে অবহেলা করে থাকেন। কিন্তু এর মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান ও গুণাবলী গুলো জানলে পেয়ারাকে যে আর কখনোই উপেক্ষা করবেন না। অতি সাধারণ এই ফলের অভাবনীয় গুণ সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন..
– পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এবং এটি কোষকে রক্ষা করে। ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে দারুণভাবে।
– এর ফাইবার ব্লাড সুগার কমায়। শরীরের ডিজেস্টিভ সিস্টেমকেও ভালো রাখে। পেয়ারা শরীরের অতিরিক্ত শর্করা শুষে নিতে পারে। এছাড়াও এতে যে ফাইবার রয়েছে তা বেশ উপকারী। এই বিশেষ ফলটি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম।
– ভিটামিন এ দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে চমৎকার কাজ করে। পেয়ারা রেটিনাল সমৃদ্ধ ফল। তাই আপনি যদি গাঁজর খেতে অপছন্দ করেন তাহলে আপনার দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে পেয়ারা খেতে পারেন।
– পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি শরীরের অতিরিক্ত রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ও রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখে।
– থাইরয়েড গ্রন্থি কার্যকরী বজায় রাখতে পেয়ারা খুব ভালো উপাদান, এতে ট্রেস উপাদান তামা থাকে। এটি থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করে।
– পেয়ারা একটি ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ ফল। এটা শরীরের পেশী এবং স্নায়ু শিথিল করতে সাহায্য করে। সুতরাং একটি কঠিন কাজ করার পরে, একটি পেয়ারা আপনি আপনার পেশী শিথিল এবং আপনার কর্ম সিস্টেমে একটি চমৎকার শক্তির সাহায্য দিতে সাহায্য করবে।
– পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ও লাইকোপিন রয়েছে। এর ফলে রক্ত পরিষ্কার হয় ও ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়। এছাড়াও লাইকোপিনের সাহায্যে গালে গোলাপী আভা ফুটে ওঠে।
– যেকোনো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বা পেটের গোলযোগে সবচেয়ে কার্যকরী হল পেয়ারা। এই ফলটিতে অ্যাস্ট্রিজেন্ট ও অ্যান্টি-মাইক্রোবাল উপাদান থাকে ফলে এটি পাকস্থলীর স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
– যাদের ওজন অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তারা পেয়ারা খেতে পারেন। পেয়ারা খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন খুব সহজেই ঝরানো যেতে পারে।