তেজপাতার গুণে রোগের মুক্তি
রান্নার স্বাদ এবং ঘ্রাণ বাড়াতে ব্যবহার চলে সুগন্ধি তেজপাতার। এতে রয়েছে বিভিন্ন রোগমুক্তির দারুণ গুণ। তেজপাতা ভিটামিন, মিনারেল, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিংক, আয়রন ও সোডিয়ামের উত্তম উৎস। তেজপাতা রক্তের ক্ষতিকারক কোলেস্টরেল এলডিএল কমায়। স্মৃতিশক্তি নষ্ট করার জন্য দায়ী এনজাইম প্রতিরোধ করে। এছাড়াও আছে নানা গুণ। জেনে নেয়া যাক তেজপাতার সেসব গুণ সম্পর্কে।
– খাবারে নিয়মিত তেজপাতার ব্যবহার হলে হৃদযন্ত্রে পেশির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
– তেজপাতা হজমে সহয়তা করে। তেজপাতা গাছের ছাল কিংবা পাতা বেটে রস করে খেলে পেটের ব্যথা ভালো হয়।
– চোখ ওঠা ও ফোড়া হলে তেজপাতা সেদ্ধ পানি ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। এছাড়া ফোড়ার ওপর তেজপাতা বেটে প্রলেপের মতো করে দিলে ব্যথা কমবে।
– ডায়রিয়া, হাম ও দীর্ঘস্থায়ী জ্বর হলে তেজপাতা সেদ্ধ পানি খেলে উপকার পাওয়া যায়।
– পানিতে তেজপাতা দিয়ে সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের অ্যালার্জি সমস্যা কমবে।
– দুইটা তেজপাতা এক লিটার পানিতে সেদ্ধ করে আধা লিটার করে নিন। এরপর ওই পানি দিয়ে গড়গড়া করলে ঠাণ্ডায় গলাভাঙ্গা দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।
– প্রতিদিন রঙ চায়ের সঙ্গে তেজপাতা খেলে ত্বকের সতেজতা ঠিক থাকবে।
– ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে তেজপাতার গুঁড়া, শসা, মধু, দই ও লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে নিন।
সতর্কতা
গর্ভবতী মায়েদের জন্যে তেজপাতা বেশি খাওয়া স্বাস্থকর নয়।