৫টি প্রাচীন এবং গোপন সৌন্দর্য রহস্য
সৌন্দর্যচর্চার জন্য আধুনিক সময়ে আবিষ্কৃত হয়েছে বহু নতুন নতুন উপায় এবং ধারণা। তবে প্রাচীনকালের নারীরা সৌন্দর্যচর্চার জন্য যে সকল উপাদান ব্যবহার করত, সেসকল উপাদান এখনকার সময়ের নারীদের মধ্যেও বহুল ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয়। আজকের ফিচারে আপনারা জানতে পারবেন খুবই প্রাচীন এবং জনপ্রিয় কিছু সৌন্দর্য রহস্য!
১/ অলিভ অয়েল
প্রাচীন কালে অলিভ অয়েলকে ‘সোনালী ’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হতো তার বিভিন্ন ধরণের গুণাগুণের জন্য। তার বহুমুখি গুণের কারণেই এখনকার সময়ে বিভিন্ন ধরণের চুল এবং ত্বকের পণ্যে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
২/ মধু দিয়ে তৈরি ফেসমাস্ক
সহস্র বৎসর ধরেই মধু সৌন্দর্য চর্চায় বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অ্যান্টি-সেলুলাইট ম্যাসাজ মুখের পেশীর জন্যে খুবই উপকারি এবং এটি করাও খুবই সহজ।
মুখের সমস্যাযুক্ত স্থানে কিছুটা মধু লাগান এবং আপনার হাতে তালু দিয়ে সেই স্থানে জোরে চাপ দিতে থাকুন। আস্তে আস্তে হাত ঘুরিয়ে চক্রাকারে ম্যাসেজ করতে থাকুন এবং হাত সরিয়ে নিয়ে আবারও পুনরাবৃত্তি করতে থাকুন।
৩/ মেহেদী
এটা আসলে পুরনো হলেও গোপন কোন রূপ রহস্য না! আমাদের সকলের নানী-দাদীদের সময় থেকেই আমরা দেখে আসছি মেহেদী গাছের মেহেদীপাতা বাটা চুলে দিয়ে আসছেন সকলে। মেহেদী শুধু যে আপনার চুল শক্ত এবং পরিপুষ্ট করে তাই নয়, চুলের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।
৪/ ডিমের ব্যবহার
চুল তো বটেই, মুখের ত্বকের জন্যে ডিম খুবই উপকারি একটি প্রাকৃতিক উপাদান। চুলের যত্নে কুসুমসহ ডিম এবং সাথে টকদই অথবা কলার মিশ্রণ দারুণ কার্যকরি। আর মুখের জন্যে ডিমের শুধুমাত্র সাদা অংশটুকু দারুণ কাজে দেয়।
৫/ লেবুর রস
লেবুর গুণাগুণের যেন শেষ নেই! চুল, মুখের ত্বক, মেদ কমাতে এবং শরীরে ভিটামিন-সি এর অভাব পূরন করতে যেন এই একটা উপাদানের জুড়ি মেলা ভার!
চুলের জন্যে মেহেদীর সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, আপনার মাথার ত্বকের খুশকি কমাতে সাহায্য করবে। মুখের জন্যে মধুর সাথে ব্যবহার করতে পারবেন লেবুর রস। ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য চিনির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ভালোমতো ঘষে ধুয়ে ফেলুন। আর শরীরের বারতি মেধ কমাতে প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানির সাথে দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন প্রতিদিন।